ফটিকছড়িতে ৮টি ইটভাটাকে ২২ লাখ টাকা জরিমানা করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর। ধ্বংস করা হয়েছে একটি ইটভাটা। গতকাল বুধবার দিনব্যাপী এসব অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট ও উচ্ছেদ অভিযানে নেতৃত্ব দেন পরিবেশ অধিদপ্তর, সদর দপ্তরের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. রেজওয়ান–উল–ইসলাম।
জানা যায়, অভিযানে বেলার রিট মামলার প্রেক্ষিতে উচ্চ আদালতের নির্দেশে হারুয়ালছড়ির মেসার্স এনএস ব্রিকস (এনএস) এর চিমনিসহ কিলন ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। এছাড়া মেসার্স হালদা ব্রিকসকে ৪ লাখ টাকা, সুয়াবিলের মেসার্স সিরাজ ব্রিকসকে ৪ লাখ টাকা, মেসার্স আবুল কালাম ব্রিকসকে ৪ লাখ টাকা, মেসার্স এবিসি–১ ব্রিকসকে ৪ লাখ টাকা, মেসার্স এবিসি–২ ব্রিকসকে দেড় লাখ টাকা, মেসার্স একতা ব্রিকসকে ২ লাখ টাকা, শাহজালাল ব্রিকসকে ১ লাখ টাকা ও হাজী ইউনুচ ব্রিকসকে দেড় লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
সূত্র জানায়, ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩ (সংশোধিত ২০১৯) ও বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ (সংশোধিত ২০১০) এর কতিপয় ধারা লঙ্ঘন করায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ইটভাটার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে, ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় পানি ছিটিয়ে ভাটার আগুন নিভিয়ে দেয়া হয়, চিমনি এবং কাঁচা ইট ভেঙে দেয়া হয়। এছাড়াও পৌরসভা এলাকায় ইটভাটা স্থাপন করে কাঠ পুড়িয়ে ইট প্রস্তুত করায় জরিমানা করা হয়। অভিযানে পরিবেশ অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. মোজাহিদুর রহমান, রিসার্চ অফিসার মো. আশরাফ উদ্দিন, পরিদর্শক চন্দন বিশ্বাস ও ডাটা এন্ট্রি অপারেটর কাজী ইফতেকার উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত ছিলে র্যাব–০৭, আনসার ও ফটিকছড়ি থানার পুলিশ। মোবাইল কোর্টে সার্বিক সহযোগিতা করে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, চট্টগ্রাম এর ফটিকছড়ি স্টেশন। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান ম্যাজিস্ট্রেট মো. রেজওয়ান–উল–ইসলাম।








