চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. জিয়াউদ্দীন বলেছেন, ফটিকছড়ির সকলের দাবি ধীরে ধীরে পূরণ হবে। তবে উপজেলা ভেঙে দুটি হলে দাবির ৪০ ভাগই পূরণ হয়ে যাবে। তিনি বলেন, জুলাই বিপ্লবের নতুন বাংলাদেশ। পজেটিভ বাংলাদেশ বেশি দূরে নয়। তবে সামনে কিছুটা সময় লাগবে। দিন শেষে পরিবর্তন আমাদের আসবেই।
গতকাল মঙ্গলবার দিনভর সরকারি সফরে ফটিকছড়িতে এসে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে সুধীজনদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এক মাদ্রাসা শিক্ষকের আইসিটি শিক্ষকের দাবির প্রসঙ্গ টেনে ড. জিয়াউদ্দীন বলেন, মাদ্রাসায় আইসিটি শিক্ষকের দাবিটি যৌক্তিক। তবে যেদিন আমরা শুনবো কওমি এবং আলিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞানে দেশসেরা হয়েছে, সেদিন বাংলাদেশ সেরা হবে। আমরা সেদিনের অপেক্ষায়। তিনি বলেন, দেশের সামপ্রতিক অগ্রগতি, সংস্কার ও অর্জন বিভিন্ন শ্রেণির নাগরিকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। সবকিছুকে জনবান্ধব করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে সরকার।
এর আগে সকালে বিভাগীয় কমিশনার উপজেলার নারায়ণহাট ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় পরিদর্শন করেন এবং সেখানকার ডিজিটাল সেন্টার ও ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয়ের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করেন। পরে তিনি নারায়ণহাট ডিগ্রি কলেজের একটি সভায় যোগ দেন। দুপুরে ড. জিয়াউদ্দীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় পরিদর্শন করেন এবং নবনির্মিত উপজেলা কমপ্লেক্স ভবন, মিলনায়তন ও ওয়াকওয়ে উদ্বোধন করেন।
এই সফরে তিনি ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ৬৫ জনকে আর্থিক অনুদান, চা–শ্রমিকদের মধ্যে নবনির্মিত ঘর হস্তান্তর এবং সমাজসেবা অধিদপ্তরের অধীনে প্রতিবন্ধীদের মাঝে হুইলচেয়ার বিতরণ করেন। সুধী সমাবেশে উপজেলার সরকারি কর্মকর্তা, স্কুল–কলেজ–মাদ্রাসার শিক্ষক, বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক এবং ছাত্র প্রতিনিধিরা উপস্থিত থেকে বিভিন্ন বিষয়ে বক্তব্য তুলে ধরেন। বিকেলে বিভাগীয় কমিশনার নাজিরহাট পৌরসভা কার্যালয় পরিদর্শন শেষে চট্টগ্রামের উদ্দেশে ফটিকছড়ি ত্যাগ করেন।
ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, বিভাগীয় কমিশনারের এই সফরে উপজেলার সার্বিক উন্নয়ন কাজ ত্বরান্বিত হবে এবং প্রশাসনিক কার্যক্রমে আরও গতিশীলতা আসবে। আমরা উপজেলার যৌক্তিক দাবিগুলো তাকে জানিয়েছি এবং তিনি ধীরে ধীরে সেগুলো পূরণে আশ্বাস দিয়েছেন।