ফটিকছড়ি ২টি ইউনিয়নে শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। নানুপুর এবং খিরামে সাধারণ ইউনিয়ন পরিষদে দলীয় কোন প্রতীক ছাড়া উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন সম্পন্ন হয়।
শনিবার (৯ মার্চ) সকাল ৮টা থেকে ভোট শুরু হয়ে চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। সন্ধ্যায় উপজেলা জহুরুল হক হলে বেসরকারি ফলাফলে নানুপুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন আনারস প্রতীকের নুরুন্নবী রোশন।
তার প্রাপ্ত ভোট ৭ হাজার ১৫২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোহম্মদ শফিউল আজম মোটরসাইকেল নিয়ে পেয়েছেন ৪ হাজার ৬৭২ ভোট।
এছাড়াও এ ইউনিয়নে অন্য দু’জন চেয়ারম্যান প্রার্থী সৈয়দ বদরুল হোসেন অটোরিকশা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১১৫ ভোট এবং মো: রেজাউল ইসলাম টেলিফোন প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩৪ ভোট। এ ইউনিয়নে মোট ভোট পড়েছে ১২ হাজার ২৫৯টি। তারমধ্যে বৈধ ভোটের সংখ্যা ১১ হাজার ৯৭৩টি এবং অবৈধ ভোটের সংখ্যা ২৮৬টি।
অন্যদিকে, নানুপুর ইউনিয়ন থেকে আলাদা হয়ে খিরাম ইউনিয়ন পরিষদ গঠনের ২য় ইউপি নির্বাচন একইদিন অনুষ্ঠিত হয়েছে। খিরাম ইউনিয়নে আনারস প্রতীক নিয়ে আবারো চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন খিরামের ১ম চেয়ারম্যান মো: সোহরাব হোসাইন। তার প্রাপ্ত ভোট ২ হাজার ৬৮৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী শহিদুল আলম অটোরিকশা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১ হাজার ৯৫৬ ভোট। ঘোড়া প্রতীক নিয়ে ১হাজার ২২৬ ভোট পেয়ে ৩য় হয়েছেন মোহাম্মদ হাসান। এ ইউনিয়নে মোট ভোট পড়েছে ৫ হাজার ৯৭০ টি। তার মধ্যে বৈধ ভোটের সংখ্যা ৫ হাজার ৮৬৯টি এবং অবৈধ ভোটের সংখ্যা ১০১টি।
সকাল থেকেই ভোটকেন্দ্রগুলোতে ভোটারের সংখ্যা ছিলো উপচে পড়া। নির্বাচনকে ঘিরে নানা ধরনের উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা ও সংঘর্ষের আশঙ্কা থাকলেও তা ছাপিয়ে উৎসবের আমেজেই ভোট দিয়েছেন ভোটাররা।
তবে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে খিরাম ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ খিরাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের বাইরে সদস্য প্রার্থীদের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটলেও তা ছিলো ভোট কেন্দ্রের বাইরে।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার অরুণ উদয় ত্রিপুরা জানান, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে, সুশৃঙ্খলভাবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। ভোট গণনা শেষে পর্যায়ক্রমে প্রার্থীদের প্রাপ্ত ভোট জানিয়ে দেয়া হয়।