ফটিকছড়ি উপজেলায় পারিবারিক কলহের জের ধরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে জাহাঙ্গীর ও আলমগীর নামে দুই ভাই নিহত হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার দক্ষিণ ফটিকছড়ির জাফতনগর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডে তেলপারই (তকিরহাটের পশ্চিমে) ছমদ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত দুজন ওই এলাকার মোহাম্মদ ইসলামের পুত্র।
স্থানীয় চেয়ারম্যান ও অন্যান্য সূত্রে জানা যায়, পারিবারিক কলহের জের ধরে চার ভাই করিম, রাসেল, জাহাঙ্গীর ও আলমগীর একসাথে বিদেশ থেকে আসেন। গতকাল করিম তার স্ত্রী ও মেয়েকে মারধর করেন। এ সময় স্থানীয় কয়েকজন এসে বাধা দিলে তাদেরও মারধর করা হয়। পরবর্তীতে এলাকাবাসীর সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে জাহাঙ্গীর ও আলমগীর নামে দুই ভাই নিহত হন। আহত হন সাহাবুদ্দিন, বাচ্চু ও বোরহানসহ ৬ জন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, করিমের পারিবারিক কলহটি সামাজিক কলহে রূপ নেয়। সমাজচ্যুত করা হয় ওই পরিবারকে। চার ভাই একসাথে আসেন প্রতিবাদ করতে। এরপর মর্মান্তিক এ ঘটনা ঘটে।
জাফতনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়া উদ্দিন জিয়া বলেন, সম্পূর্ণ পারিবারিক বিষয়টি এত বড় ঘটনায় রূপ নিল।
ঘটনায় অভিযুক্ত মো. করিমের মেয়ে নাজিফা নাসরিন বলেন, আমার বাবা প্রবাসে থাকেন। ওখান থেকে বলা হচ্ছে, আমার মা খারাপ কাজ করছেন। বাবা আমাকে কল দিয়ে বিষয়টি জানতে চান। আমি বলেছি এসব মিথ্যা কথা। গতকাল আমার চাচারা এসেছিলেন। আমি আর আমার মা আজ (গতকাল) দুপুরে খেয়ে শুয়েছিলাম। এ সময় আমার বাবা–চাচারা আমার মাকে মারার চেষ্টা করেন। এ সময় আমাকেও আঘাত করেন। আমি পালিয়ে গিয়ে বিষয়টি সমাজের সবাইকে জানাই। এরপর সমাজের লোকজন এলে তাদের ওপরও আমার বাবা ও চাচারা হামলা করেন। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি লেগে যায়। এতে আমার চাচা আলমগীর ও জাহাঙ্গীর মারা যান।
ফটিকছড়ি থানার তদন্ত অফিসার আবু জাফর বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। পরে বিস্তারিত জানানো হবে।