চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা দেয়ার সময় চট্টগ্রাম মেডিকলে কলেজ হাসপাতালের এমিবিবিএস ডিগ্রী নামধারী কাইছার হামিদ (৩৪) নামে এক ভুয়া চিকিৎসককে আটক করা হয়েছে।
রবিবার (২৬ জানুয়ারি) সকালে নানুপুর ইসলামিয়া ওবাইদিয়া মাদ্রাসা থেকে ওই ভুয়া চিকিৎসক কে আটক করা হয়।
আটককৃত ভুয়া চিকিৎসকের দেয়া তথ্যমতে সে চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার হানদার ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের ছানোয়ার মাস্টার বাড়ির মোহাম্মদ ছালে আহমদের ছেলে।
মাদ্রাসা সূত্রে জানা যায়- প্রায় ১০ দিন পূর্বে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের কাছে একটি নাম্বার থেকে জানানো হয় মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের জন্য স্বল্পমূল্য দিয়ে চিকিৎসা সেবার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এরপর থেকে সে ২০ টাকা ফি দিয়ে শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা এবং ৪০-৫০ টাকা করে বিভিন্ন শারীরিক পরীক্ষা করে যাচ্ছিল। এভাবে দেড় হাজার শিক্ষার্থীকে সে চিকিৎসার নাম করে প্রতারণা করে।
একপর্যায়ে ওই ভুয়া চিকিৎসকের কথাবার্তা আচার-আচরণে সন্দেহ হলে মাদ্রাসা কতৃপক্ষের বিভিন্ন জিজ্ঞাসাবাদের পর জানা যায় সে একজন ভুয়া চিকিৎসক।
এ ব্যাপারে মাদ্রাসার শিক্ষক জাহিদ হাসান বলেন- আমরা প্রথমে এ প্রতারণার ফাঁদ বুঝতে পারিনি। ভুয়া চিকিৎসক দেড় হাজার শিক্ষার্থীকে ভুয়া চিকিৎসা দিয়েছে সাথে বিভিন্ন রক্তের পরীক্ষাও। সে একজন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ভুয়া চিকিৎসক! আটকের পর তাকে প্রশাসনের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে। আমরা এর উপযুক্ত শাস্তি দাবি করছি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আরেফিন আজিম বলেন- মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের অভিযোগ পেয়ে আমি নিজে মাদ্রাসায় গিয়ে দেখেছি সে একজন ভুয়া চিকিৎসক। মূলত মো: আমান নামের একজন চিকিৎসকের রেজিষ্ট্রেশন নাম্বার ব্যবহার এবং চমেকের চিকিৎসক বলে সে এ প্রতারণা করে যাচ্ছিল। প্রশাসন এবং মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের সাথে সিদ্ধান্ত করে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।