বোয়ালখালী থেকে তুলে রাউজানে নিয়ে গিয়ে হাত–পায়ে গুলি করে পঙ্গু করার অভিযোগে রাউজানের সাবেক সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী, রাউজান থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাসসহ ৩৩ জনের বিরুদ্ধে আদালতে একটি মামলার আবেদন করা হয়েছে।
গতকাল চট্টগ্রামের চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শহিদুল ইসলামের আদালতে কামরুল ইসলাম টিটু নামের এক ব্যক্তি মামলার আবেদনটি করেন। টিটু নিজেকে একজন কৃষক ও বিএনপিকর্মী পরিচয় দিয়েছেন। তার বাড়ি রাউজানের নোয়াপাড়া এলাকায়।
জেলা কোর্ট পরিদর্শক জাকের হোসাইন দৈনিক আজাদীকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, কামরুল ইসলাম টিটু নামের ব্যক্তির অভিযোগটি গ্রহণ করে এফআইয়ার হিসেবে গ্রহণ করতে রাউজান থানাকে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
মামলার আরজিতে বলা হয়, ২০১৫ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি বোয়ালখালীর মধ্যম চরণদ্বীপ এলাকায় মেয়ের শ্বশুর বাড়িতে অবস্থান করছিলেন ভিকটিম কামরুল ইসলাম টিটু। সেখান থেকে চোখ বেধে প্রথমে একটি পুলিশ ফাঁড়ি এবং পরে তাকে রাউজানের মুকিব দিঘীর পাড়ার চাঁদের দিঘীর পাড় এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। একপর্যায়ে জোরজবরদস্তি করে তার দুই হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলি কেটে ফেলা হয়। দুই হাতের তালু, এমনকি বাম পা ও ডান পায়ে গুলি করা হয়। পরে তাকে চমেক হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করানো হয়। এরপর অস্ত্র উদ্ধার দেখিয়ে তার বিরুদ্ধে অস্ত্র ও বিষ্ফোরকদ্রব্য আইনে মামলা দায়ের এবং এরই ধরাবাহিকতায় তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
আরজিতে বলা হয়, ঘটনার পর তার একটি পা কেটে ফেলতে হয়। অপর পায়ে স্টিল প্লেট ফিটিং করা হয়েছে। দুই হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলিও স্টিল প্লেট দিয়ে কোন রকম জোড়া লাগানো হয়েছে।
বর্তমানে তিনি পঙ্গুত্ব জীবন যাপন করছেন। মূলত আওয়ামী সরকারের একতরফা জাতীয় নির্বাচন বাতিল করে ফ্যাসিবাদী সরকারের পদত্যাগের দাবিতে বিএনপির য্যেক্তিক আন্দোলন দমনের উদ্দেশ্যে পরিকল্পিতভাবে বিএনপিকর্মী টিটুকে নির্যাতন করা হয়েছে বলেও মামলার আরজিতে উল্লেখ করা হয়।