ফজলে করিমসহ ২৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা

হত্যাচেষ্টা অপহরণ ও চাঁদাবাজির অভিযোগ

আজাদী প্রতিবেদন | মঙ্গলবার , ২০ আগস্ট, ২০২৪ at ৬:১৮ পূর্বাহ্ণ

হত্যাচেষ্টা, অপহরণ ও চাঁদাবাজির অভিযোগে রাউজানের সাবেক সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীসহ ২৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুরে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম সারওয়ারের আদালতে মামলাটি করেন উপজেলার পশ্চিম গুজরা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান সিরাজউদ্দৌলা। আদালত মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। মামলার অন্য আসামিরা হলেন পশ্চিম গুজরা ইউপি চেয়ারম্যান মো. শাহাবুদ্দিন আরিফ, টনি বড়ুয়া, লিটন দে, মো. আনোয়ার, মোহাম্মদ মাসুদ, আজম খাঁন, মো. সাদ্দাম, সালাউদ্দিন মিন্টু, সাইফুল ইসলাম লিটন, আবু তৈয়্যব, মো. জামাল প্রকাশ কালা জামাল, অংশুমান বড়ুয়া, আবদুল মান্নান, মো. আরিফ, মো. সাজ্জাদ, মো. হাবিবুর রহমান, আরিফুল ইসলাম রুবেল, মো. ইসমাইল, মো. দুলাল, মো. রফিক, মো. কামাল, আবদুল আজিজ, মো. আসলাম, মো. ফারুক ও মো. তানভীর। এরা সবাই আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের স্থানীয় নেতাকর্মী।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০২২ সালের ১২ সেপ্টেম্বর ফজলে করিমের নির্দেশে বাদীকে অপহরণ করে বাড়ি থেকে তুলে নেওয়া হয়। ওই সময় বাড়ির বিভিন্ন জিনিসপত্র ভাঙচুর ও লুটপাট চালান আসামিরা। পরে বাদীকে দূরে একটি ঘরে আটকে রেখে চুল, দাড়ি কেটে বিবস্ত্র করে ছবি তুলে ফজলে করিমের কাছে পাঠান আসামিরা। এরপর রাতে একটি সিএনজিতে বসানো হয়। সিএনজির পেছনে অস্ত্র ও গুলি রাখা হয়। গুলি ও অস্ত্রসহ তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয় বলে দাবি করেন বাদি। এছাড়া মৃত্যুর হুমকি ও ভয় দেখিয়ে নগদ তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ নেয়া হয় বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।

বাদি সিরাজউদ্দৌলা আজাদীকে বলেন, এলাকায় আমার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আসামিরা পরস্পরের যোগসাজশে আমার নামে একে একে ১৪টি মিথ্যে মামলা দিয়েছে। বিভিন্ন সময় বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে শারীরিক নির্যাতন করা হয়। মামলা দিয়ে দফায় দফায় জেলে খাটানো হয়। যারা আমার উপর অন্যায়ভাবে জুলুম নির্যাতন করেছে তাদের শাস্তি নিশ্চিত করতে মুক্ত পরিবেশ পেয়ে মামলা করে বিচার প্রার্থনা করছি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছাত্র আন্দোলনে আহত ৩৪ জন
পরবর্তী নিবন্ধচট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে অপসারণ