তদানীন্তন পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের স্পিকার ও অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি এ কে এম ফজলুল কাদের চৌধুরীর ৫২তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। এ উপলক্ষে আজ শুক্রবার সকালে রাউজান গহিরাস্থ মরহুমের কবরে খতমে কোরআন, মিলাদ মাহফিল, পুষ্পমাল্য অর্পণ ও জেয়ারত করা হবে। একই দিন বিকাল ৪ টায় চট্টগ্রাম শহরস্থ মরহুমের পারিবারিক বাসভবন গুডস্হিলে মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। মরহুমের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান পৃথক কর্মসূচি পালন করবে। হাটহাজারীস্থ রহিমপুর ফজলুল কাদের চৌধুরী আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, রাউজান শমসের নগর ফজলুল কাদের চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়, ফজলুল কাদের চৌধুরী স্মৃতি পরিষদ, চট্টগ্রাম, মুসলিম লীগসহ বিভিন্ন সামাজিক–রাজনৈতিক সংগঠন আলোচনা সভা ও মিলাদ মহফিলের আয়োজন করেছে। এতে সকল শুভাকাক্ষীদের উপস্থিত থাকার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, এ কে এম ফজলুল কাদের চৌধুরী ১৯১৯ সালের ২৬ মার্চ চট্টগ্রামের রাউজান থানার গহিরা গ্রামে পিতা খান বাহাদুর আবদুল জব্বার চৌধুরীর ঔরশে ও মাতৃকূল মধ্যযুগীয় বাংলা সাহিত্যের মহিলা কবি রহিমুন্নেসার পৌত্রী বেগম ফাতেমা খাতুন চৌধুরীর গর্ভে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৩ সালের ১৮ জুলাই তিনি ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে রহস্যজনকভাবে মৃত্যুবরণ করেন। বিংশ শতাব্দীর ত্রিশের দশকে কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজে স্নাতক শ্রেণীর ছাত্রাবস্থায় কারমাইকেল হোস্টেলে ছাত্র সংসদের ভিপি পদে নির্বাচিত হওয়ার মধ্য দিয়ে তাঁর নেতৃত্বের উন্মেষ ঘটে। পরবর্তীতে স্নাতকোত্তর শ্রেণীতে অধ্যায়নকালীন নিখিল ভারত (অল–ইন্ডিয়া) মুসলিম ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হলে তাঁর নেতৃত্বের বিকাশ ঘটে। নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুর নেতৃত্বে হলওয়েল মন্যুমেণ্ট উৎখাত আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ, ক্রমান্বয়ে মুসলিম লীগের নেতৃত্বে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে ও মুসলিম স্বাধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে অংশগ্রহণের দীর্ঘ পথ–পরিক্রমায় অনেক চড়াই উৎরাই পেরিয়ে ১৯৪৯ সালে চট্টগ্রাম জেলা বোর্ডের চেয়ারম্যান, ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে এমএলএ নির্বাচিত, ১৯৬২ সালে তদাানীন্তন পাকিস্তান কেন্দ্রিয় সরকারের আটটি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী পদে এবং ১৯৬৩ সালে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের স্পিকার নির্বাচিত হন এবং পদাধিকার বলে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি ক্ষমতায় থাকাকালীন তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ (চুয়েট), চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ, চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, চট্টগ্রাম মেরিন একাডেমি, চট্টগ্রাম মেরিন ফিসারিজসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।