শবে বরাতের রোজা রাখার নিয়তে সেহরি খেয়েছেন সোহেল (১৭)। ফজরের আজানের সাথে সাথে নামাজ আদায়ের জন্য রওনা দেন মসজিদের দিকে কিন্তু মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়া হলো না সোহেলের।
ছড়ার মধ্যে অযু বানাতে গিয়ে পানিতে পড়ে নিভে গেল তার প্রাণপ্রদীপ। সকালে পাহাড়ি ছড়ায় তার লাশ ভাসতে দেখতে পেয়ে স্থানীয় লোকজন থানায় খবর দেয়।
আজ মঙ্গলবার (৩০ মার্চ) ভোররাতে পেকুয়া উপজেলার টইটং ইউনিয়নের সোনাইছড়ি মাঝের পাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, নিহত সোহেল (১৭) ঐ এলাকার গিয়াস উদ্দিনের ছেলে।
তার মা জুলেখা বেগম জানান, “শবে বরাতের রোজা রাখার জন্য সোহেল সেহরি খেয়ে নামাজ পড়তে মসজিদের দিকে যায়। সে ছোটকাল থেকেই মৃগী রোগী। পথিমধ্যে ছড়ার পানিতে অযু বানাতে গিয়ে হঠাৎ মৃগী রোগ উঠে পড়ায় সে পানিতে পড়ে যায়। নামাজ পড়ে আসতে দেরী হচ্ছে কেন খুঁজতে গিয়ে আমরা ছড়ার মধ্যে তার লাশ খুঁজে পাই।”
টইটং ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোসলেম উদ্দিন বলেন, “আমি বর্তমানে ছেলেটির জানাজা পড়তে এসেছি। সে গতকালও সারাদিন আমার সাথে ছিল কিন্তু রাতে সেহরি খেয়ে নামাজ পড়তে গিয়ে পথিমধ্যে ছড়ার পানিতে পড়ে যায়। তার পরিবারের লোকজন ধারণা করছে নামাজ পড়তে যাওয়ার সময় হঠাৎ তার মৃগী রোগ উঠায় সে পানিতে পড়ে আর উঠতে পারেনি।”
এলাকার লোকজন জানান, সকালে তারা ছড়ার মধ্যে এক যুবকের লাশ ভাসতে দেখে পেকুয়া থানায় খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে লাশটি উদ্ধার করে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে লাশটি পরিবারের নিকট হস্তান্তর করে।
এ বিষয়ে পেকুয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) কানন সরকারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “নিহত যুবক সোহেলের পিতা গিয়াস উদ্দিন ও মাতা জুলেখা বেগম থানায় এসে তাদের ছেলে মৃগী রোগের কারণে পানিতে পড়ে মৃত্যু হয়েছে বলে জবানবন্দি দেয়। নিহত যুবকের মৃত্যুতে কারো কোনো অভিযোগ না থাকায় লাশটি তার পরিবারকে হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।”