ফখরুল-অলির বৈঠক আসতে পারে নতুন ঘোষণা

| বুধবার , ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ at ৭:৫৪ পূর্বাহ্ণ

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেছেন এলডিপির সভাপতি কর্নেল অব. অলি আহমদ বীর বিক্রমের সঙ্গে। গত রোববার কর্নেল অলির মহাখালী ডিওএইচএসের বাসায় ওই বৈঠক হলেও উভয়পক্ষের কেউ বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানায়নি। খবর বাংলানিউজের।
সূত্র জানায়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে সরকারের বাইরে থাকা রাজনৈতিক দলগুলো নিয়ে বৃহত্তর ঐক্য গড়ার উদ্যোগ শুরু করেছে বিএনপি। ইতোমধ্যে অন্তত ৩০টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা করেছেন দলটির নেতারা। এরই অংশ হিসেবে ২০ দলীয় জোটের শরীক দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করছেন বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা। জানা গেছে, আগামী শুক্রবারের (২৫ ফেব্রুয়ারি) মধ্যে আরও বেশ কয়েকটি দলের সঙ্গে আলোচনায় বসবে বিএনপির দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা। এরপর ২৭ ফেব্রুয়ারি একটি প্লাটফর্মের ঘোষণা আসতে পারে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির এক নেতা জানান, তাদের মতে ১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনই ছিল দেশের সবচেয়ে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন। ওই নির্বাচনে বিএনপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়। ওই দিনটি স্মরণ করতে সেদিন একটি আলোচনা সভার আয়োজন করবে বিএনপি। ওই আলোচনা সভা থেকে বৃহত্তর একটি প্লাটফর্মের ঘোষণা আসতে পারে।
রোববার রাতে অলি আহমদের ডিওএইচএসের বাসায় সাড়ে ৩ ঘণ্টার ওই অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান ও এলডিপির মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদ।
সূত্র জানায়, বৈঠকে দীর্ঘদিনের ভুল বোঝাবুঝির অবসান হয়েছে। আগামী দিনে একসঙ্গে পথ চলার বিষয়ে দুই দলের নেতারাই অঙ্গীকার করেছেন। বিএনপি নেতারা আন্দোলন ও বৃহত্তর ঐক্যের বিষয়ে অলি আহমদের পরামর্শসহ সহযোগিতা চেয়েছেন। তিনিও আগামী দিনে একসঙ্গে কাজ করবেন বলে বিএনপি নেতাদের আশ্বস্ত করেছেন।
জানতে চাইলে এলডিপির সভাপতি কর্নেল অলি আহমদ বলেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ কয়েকজন নেতা আমার বাসায় এসেছিলেন। তাদের সঙ্গে দেশের রাজনীতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
এলডিপি থেকে বেরিয়ে যাওয়া আব্দুল করিম আব্বাসী ও শাহাদাত হোসেন সেলিমের নেতৃত্বে গঠিত এলডিপিকে ২০ দলীয় জোটে রাখার বিষয়ে জানতে চাইলে কর্নেল অলি বলেন, তাদের জোটে রাখা না রাখা বিষয়টি এরকম না। আমি বলেছি, শাহাদাত হোসেন সেলিমকে এলডিপি থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সুতরাং সে যদি জোটে থাকে তাহলে সেখানে আমি বসতে পারি না। বিষয়টি তারা বিবেচনা করবেন বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার কিংবা নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের দাবি বাস্তবায়ন দীর্ঘ সময়ের ব্যাপার। এর চেয়ে এখনই জাতীয় সরকারের দাবিতে আন্দোলন করা উচিত।
এদিকে শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, এ ধরনের দাবি কর্নেল অলির রাজনৈতিক দেউলিয়াত্ব প্রমাণ করে। ২০ দলীয় জোটে কোন দলকে রাখবে, রাখবে না সেটা বিএনপি সিদ্ধান্ত দেবে। কর্নেল অলি আহমদ তো ২০ দলীয় নেতাদের বিরুদ্ধে নানা রকম বক্তব্য দিয়েছেন। নতুন জোট করতে চেয়েছেন। তার বিষয়ে বিএনপির সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।

পূর্ববর্তী নিবন্ধফুল দেয়াকে কেন্দ্র করে মহসিন কলেজ ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ আহত ৮
পরবর্তী নিবন্ধক্লু লেস মামলার রহস্য উদঘাটন করল পিবিআই