সুপার মার্কেটগুলোতে পাতলা প্লাস্টিকের ব্যাগ ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে নিউ জিল্যান্ড। বিশ্বে নিউজিল্যান্ডই প্রথম এমন পদক্ষেপ নিল। দেশটিতে বাড়িতে বাজার নিয়ে যাওয়ার জন্য মোটা প্লাস্টিক ব্যাগ ব্যবহার না হলেও সাধারণত ফল বা সবজি নিতে ব্যবহার হত এই পাতলা ব্যাগ। এবার তাও নিষিদ্ধ হল। গত শনিবার এ পদক্ষেপ কার্যকর হয়েছে। মূলত একক–ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের ব্যাগ নিষিদ্ধে বৃহত্তর সরকারি প্রচারাভিযানের অংশ হিসেবে এ পদক্ষেপ নিয়েছে নিউজিল্যান্ড। খবর বিডিনিউজের।
বিবিসি জানায়, ২০১৯ সালে বাড়িতে নেওয়া মোটা প্লাস্টিকের ব্যাগ নিষিদ্ধ হওয়ার পর থেকে বেশিরভাগ ক্রেতাই নিজস্ব ব্যাগ দোকানে নিয়ে যান। তাছাড়া,সমপ্রতি কয়েক বছরে অনেক দেশই প্লাস্টিকের ব্যাগের ওপর ফি বা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। দেশটির সহযোগী পরিবেশমন্ত্রী রাচেল ব্রুকিং বলেছেন, নিউজিল্যান্ড প্রচুর বর্জ্য হয়, প্লাস্টিক বর্জ্য হয় খুবই বেশি।
তিনি বলেন, ২০১৯ সালে মোটা ব্যাগের ওপর নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ার পর থেকে ১শ’ কোটিরও বেশি প্লাস্টিকের ব্যাগ সংরক্ষণ করা হয়েছে। আর এখন নতুন পদক্ষেপে প্রতি বছর ১৫ কোটি প্লাস্টিকের ব্যাগের ব্যবহার বন্ধ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে নতুন পদক্ষেপ নিয়ে সমালোচকরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তারা বলছেন, এর ফলে ক্রেতারা কেবল ডিসপোজেবল কাগজের ব্যাগে পণ্য রাখতে পারেন যা এখনও সুপারমার্কেটে পাওয়া যায়। সহযোগী পরিবেশমন্ত্রী ব্রুকিং বলেছেন, আমরা সত্যিই কোনওরকম একক–ব্যবহারযোগ্য প্যাকেজিং কমাতে চাই। আমরা চাই, মানুষ তাদের নিজস্ব ব্যাগ আনুক এবং সুপারমার্কেটগুলো পুনরায় ব্যবহারযোগ্য পণ্যের ব্যাগ বিক্রি করুক। সুপারমার্কেট চেইন কাউন্টডাউন ইতোমধ্যেই নিউজিল্যান্ডজুড়ে পুনরায় ব্যবহারযোগ্য পলিয়েস্টার জালের ব্যাগ বিক্রি শুরু করেছে।
সুপারমার্কেট চেইনটি নিউজিল্যান্ডজুড়ে ১৮৫টিরও বেশি দোকান পরিচালনা করে থাকে। কোম্পানিটি আশা করছে, এ ধরনের পদক্ষেপ ক্রেতাদেরকে ফল এবং সবজির জন্য পুনরায় ব্যবহারযোগ্য ব্যাগ ব্যবহারে উৎসাহ যোগাবে। কাউন্টডাউনের শীর্ষ কর্মকর্তা ক্যাথরিন বলছেন, আমরা জানি পরিবর্তন আসা কঠিন। গ্রাহকদের অভ্যস্ত হতে আরেকটু সময় লাগবে। কিছু গ্রাহককে নাখোশও দেখতে পাচ্ছি আমরা। নিউজিল্যান্ড সরকার জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় অন্য আরও উদ্যোগ নিয়েছে এবং সেসব ক্ষেত্রে অগ্রগতিও করেছে। গত বছর অক্টোবরে ভেড়া ও অন্যান্য গবাদি পশুর মতো খামারের প্রাণীদের উৎপাদিত গ্রিনহাউস গ্যাসের ওপর কর আরোপের প্রস্তাব করেছিল নিউজিল্যান্ড।