প্লাস্টিকের দূষণ মোকাবেলায় পতেঙ্গা সৈকতে সচেতনতামূলক কর্মসূচি

| শনিবার , ১ নভেম্বর, ২০২৫ at ৭:৪৯ পূর্বাহ্ণ

একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের দূষণ মোকাবেলায় নাগরিকদের অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়ে পতেঙ্গা সৈকতে সচেতনতামূলক কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার বিকালে এই কর্মসূচির মূল আহ্বান ছিল নাগরিকদের একত্রে দায়িত্ব নিয়ে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক দূষণ মোকাবেলায় অংশগ্রহণ করা। জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) বাংলাদেশ এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (সিসিসি) যৌথভাবে এই কর্মসূচি আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে শহরের নেতৃত্ব, উন্নয়ন সহযোগী ও স্থানীয় জনগণ একত্রিত হয়ে পতেঙ্গাকে রক্ষা এবং পরিচ্ছন্ন ভবিষ্যতের জন্য টেকসই অভ্যাস গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। খবর বিডিনিউজের।

অনুষ্ঠানে সিটি করপোরেশনের মেয়র শাহাদাত হোসেন বলেন, পতেঙ্গা আমাদের সবচেয়ে বেশি পরিদর্শিত উপকূলীয় এলাকাগুলোর একটি। কিন্তু প্লাস্টিক দূষণ এর সৌন্দর্য ও জীববৈচিত্র্যের জন্য বড় হুমকি। এই উদ্যোগের মাধ্যমে আমরা এমন একটি দায়িত্বশীল সংস্কৃতি গড়ে তুলতে চাই, যেখানে প্রত্যেক দর্শনার্থী ও নাগরিক নিজেদের সৈকত পরিচ্ছন্ন রাখা এবং সাগরকে সুস্থ রাখার দায়িত্ব নেবে।

ইউএনডিপি বাংলাদেশের সহকারী রেসিডেন্ট রিপ্রেজেন্টেটিভ সরদার এম. আসাদুজ্জামান পতেঙ্গার পরিবেশগত গুরুত্বের কথা উল্লেখ করে বলেন, পতেঙ্গা শুধু একটি সৈকত নয়, এটি চট্টগ্রামের গর্বের প্রতীক। কিন্তু প্রতিদিন এখানে জমা হওয়া প্লাস্টিক বর্জ্য সামুদ্রিক প্রাণী, জনস্বাস্থ্য ও জীবিকার জন্য হুমকি তৈরি করছে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এভারেস্টজয়ী ইকরামুল শাকিল। দিনব্যাপী এই কর্মসূচিতে তরুণ স্বেচ্ছাসেবীরা সৈকত পরিষ্কার কার্যক্রম পরিচালনা করে, পরিবেশবান্ধব ডাস্টবিন ও সচেতনতামূলক সাইনবোর্ড স্থাপন করে এবং আগত দর্শনার্থীদের প্লাস্টিক ব্যবহার না করার প্রতিশ্রুতি দিতে উদ্বুদ্ধ করে।

এই কর্মসূচি ইউএনডিপি বাংলাদেশের ‘প্লাস্টিক সার্কুলারিটি প্রজেক্টের’ অংশ। প্রকল্পটির লক্ষ্য চট্টগ্রাম, কঙবাজার ও টাঙ্গাইল জেলায় ১৫ হাজার টন প্লাস্টিক বর্জ্য পুনরুদ্ধার ও দায়িত্বশীলভাবে ব্যবস্থাপনা করা, যেন যাতে প্লাস্টিক পুনর্ব্যবহারযোগ্য সম্পদে রূপান্তরিত হয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসৈকত দখল করে ব্যবসা করলে আইনি ব্যবস্থা
পরবর্তী নিবন্ধআমরা প্রতিবন্ধীদের জন্য একটি বসবাসযোগ্য নগরী গড়তে চাই