প্রোজ্বল পাঠাগার সাহিত্য পুরস্কার পেলেন ছয় লেখক

| রবিবার , ৮ অক্টোবর, ২০২৩ at ১০:৪৭ পূর্বাহ্ণ

থিয়েটার ইনস্টিটিউট হলে গতকাল শনিবার বিকেল পাঁচটায় প্রোজ্বল পাঠাগার সাহিত্য পুরস্কার ২০২৩ অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথিছিলেন বিজিএমইএ ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্য প্রফেসর ড. ওবায়দুল করিম। এ সময় তিনি বলেন, সমাজবাস্তবতা সাহিত্যে খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং পুরস্কারপ্রাপ্ত লেখকেরাই তাই করেছেন।

আলোচকের বক্তৃতায় কবিসাংবাদিক রাশেদ রউফ বলেন, আজকে যারা পুরস্কার পাচ্ছেন, আমি মনে করি এর পেছনে যারা ছিলেন তারা সঠিক মানুষই নির্বাচন করেছেন। চবির অধ্যাপক ড. ফরিদ ফারুক পুরস্কারপ্রাপ্ত সকলের সাহিত্যকর্ম নিয়ে আলোচনা করেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রোজ্বল পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা কবি প্রদীপ প্রোজ্জ্বল।

শিশুসাহিত্যে পুরস্কারপ্রাপ্ত লেখকের অনুভূতি প্রকাশে বিপুল বড়ুয়া বলেন, আজকের পুরস্কার আমার দায়দায়িত্ব বাড়িয়ে দিয়েছে।

কথাসাহিত্যে পুরস্কারপ্রাপ্ত বিশ্বজিৎ চৌধুরী বলেন, প্রোজ্বল পাঠাগার সাহিত্য পুরস্কার আমাকে আনন্দ দিয়েছে। আমি প্রথমে তাদের ফিরিয়ে দিয়েছিলাম কিন্তু অন্যান্য নাম দেখে তাদের আর ফেরাতে পারিনি।

কবিতায় পুরস্কারপ্রাপ্ত হাফিজ রশিদ খান বলেন, আমাকে এই চট্টগ্রাম থেকে আজ প্রোজ্জ্বল পাঠাগার যে পুরস্কার দিয়েছে তাতে আমি মুগ্ধ হয়েছি, আনন্দ পেয়েছি।

প্রবন্ধে পুরস্কারপ্রাপ্ত মহিবুল আজিজ বলেন, আমার কাছে আজকের পুরস্কারটা খুবই প্রাসঙ্গিক কারণ যাদের সাহিত্যপুরস্কার দেয়ার কথা তারা পুরস্কার দিচ্ছেন না আর যার এসবে না থাকার কথা তিনি এ পুরস্কার দিচ্ছেন বলে।

তরুণ ক্যাটাগরিতে পুরস্কারপ্রাপ্ত আরমানউজ্জামান ও জয়ন্ত জিল্লু দুজনেই উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান উপলক্ষে পুরস্কারপ্রাপ্তদের জীবন ও কর্ম নিয়ে প্রোজ্জ্বল নামের একটি স্মরণিকারও মোড়ক উন্মোচন করা হয়। সভাপতি ড. শামসুদ্দীন শিশির তার বক্তব্যে পুরস্কারপ্রাপ্তদের অভিনন্দিত করেন ও উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। উমাসিং মারমা উর্মীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে নির্বাচিত ছয় লেখকের প্রত্যেককে উত্তরীয়, ক্রেস্ট, সনদ, চেকের রেপ্লিকা ও নগদ অর্থ প্রদান করা হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকোনো ষড়যন্ত্র দেশের মানুষ মেনে নেবে না
পরবর্তী নিবন্ধরসূল (সা.)’র আদর্শ সুসম্পর্ক ও ভ্রাতৃত্বের শিক্ষা দিয়েছেন