বাংলা এবং বাঙালির জন্য রবীন্দ্র–নজরুল। আর এ দু’জনের জন্যই আজকের বাঙালি, যা একে অপরের পরিপূরক। প্রধান পরিচয় কবি হলেও তাঁদের সৃজনশীলতা ছিল বহুমুখী। সাহিত্যের সব শাখাতেই তাঁদের ছিল অবাধ বিচরণ। সমাজের অগ্রগতি ও মানুষের মুক্তি নিয়ে তাঁদের চিন্তা ছিল সার্বক্ষণিক। রবীন্দ্রনাথের মতোই নজরুলেরও ছিল সংগীতের প্রতি গভীর আকর্ষণ এবং সংগীতের ক্ষেত্রে দুজনের অবদানই অসামান্য। হাজার হাজার গান তাঁরা রেখে গেছেন। গানে সুর দিয়েছেন, সুর সৃষ্টি করেছেন, সুরের মিশ্রণ ঘটিয়েছেন। নিজেরাও গাইতেন। দুজনেই নাটক লিখেছেন, নাটকের নির্দেশনা দিয়েছেন, অভিনয় করেছেন। তাঁদের ছিল কৌতুকের অসাধারণ বোধ এবং তাঁরা শিশুদের জন্য যা লিখেছেন, তা–ও অতুলনীয়। চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব আয়োজিত রবীন্দ্র নজরুল জয়ন্তী অনুষ্ঠানে আলোচকরা একথা বলেন।
প্রেস ক্লাব সভাপতি সালাহ্উদ্দিন মো. রেজার সভাপতিত্বে গত মঙ্গলবার আয়োজিত অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক দেবদুলাল ভৌমিক। সাংস্কৃতিক সম্পাদক নাসির উদ্দিন হায়দারের সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশ নেন চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সহ সভাপতি চৌধুরী ফরিদ, সাংবাদিক ও কথা সাহিত্যিক বিশ্বজিৎ চৌধুরী এবং ওমর কায়সার, প্রেস ক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক শহীদুল্লাহ শাহরিয়ার, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক খোরশেদুল আলম শামীম, রিয়াজ হায়দার চৌধুরী ও ডেইজী মওদুদ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সহ সভাপতি মনজুর কাদের মনজু, কার্যকরী সদস্য আইয়ুব আলী, বিএফইউজে যুগ্ম মহাসচিব মহসীন কাজী, আসিফ সিরাজ, নির্মল চন্দ্র দাশ, নিরূপম দাশ গুপ্ত, রূপম চক্রবর্তী, মাখন লাল সরকার, ফরিদ উদ্দিনসহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিঙ, প্রিন্ট ও অনলাইন পত্রিকার সাংবাদিকবৃন্দ। সভাপতি বলেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কিংবা কাজী নজরুল এই নামগুলো শুনলেই নিজের অজান্তে মনের কোণে এক ধরনের অহংকার তৈরি হয়। বাঙালি হিসেবে এই অসামান্য মানুষগুলো জন্ম নিয়েছিলেন বলেই আজ বাঙালি হিসেবে অহংকার করার সুযোগ আমরা পেয়েছি।
সাংস্কৃতিক সংগঠন রক্তকরবীর দলীয় পরিবেশনায় অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। এরপর সঙ্গীত পরিবেশন করেন নাসির উদ্দিন হায়দার, হামিদুল ইসলাম শামীম, কান্তা দে, মিত্রা বিশ্বাস, সৃষ্টি বড়ুয়া, শুকলা পাল কনিকা, পাপিয়া দে, শ্যামলী পাল, প্রিয়ম দাশ, ঐশিকা ভৌমিক প্রমূখ। আবৃত্তি করেন–দেবদুলাল ভৌমিক, স্বস্তিকা দাশ, মোতাছিম বিল্লাহ, মাখতুমা বিনতে ফরিদ, সানজা তাবাসসুম ঐশী প্রমুখ। স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি করেন প্রবীণ সাংবাদিক প্রদীপ নন্দী। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।