প্রেষণে এসে চসিকে ১৩ বছর চাকরি, অবশেষে বদলির আদেশ

আজাদী প্রতিবেদন | রবিবার , ২৩ জুন, ২০২৪ at ৫:৪৫ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে (চসিক) প্রেষণে এসে প্রায় ১৩ বছর কর্মরত এক সহকারী প্রকৌশলীকে হাটহাজারী পৌরসভায় বদলি করা হয়েছে। সালমা খাতুন নামে ওই প্রকৌশলী চসিকের বিদ্যুৎ বিভাগে কর্মরত।

সাধারণত প্রেষণে বদলিকৃত কর্মকর্তাদের তিন বছরের বেশি এক জায়গায় রাখা হয় না। তবে এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম ছিলেন সালমা খাতুন। চসিকের কেনাকাটা সংক্রান্ত দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এনফোর্সমেন্ট প্রতিবেদনে তার বিরুদ্ধে ‘ক্ষমতার অপব্যবহার’ ও ‘সরকারের আর্থিক ক্ষতিসাধনের’ অভিযোগ করা হয়েছে।

জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব ড. সালমা সিদ্দিকা স্বাক্ষরে সালমা খাতুনের বদলির আদেশ জারি করা হয়। এতে ৭ জুলাই এর মধ্যে বদলিকৃত কর্মস্থলে যোগ দিতে বলা হয়। অন্যথায় তিনি ৮ জুলাই তাৎক্ষণিক অবমুক্ত (স্ট্যান্ড রিলিজ) বলে গণ্য হবেন।

বদলি আদেশ জারি হওয়ার বিষয়টি আজাদীকে নিশ্চিত করেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম। প্রেষণে বদলিকৃত জায়গায় কর্মকর্তারা কত বছর থাকতে পারবেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটার সুনির্দিষ্ট নিয়ম নেই। তবে সচরাচর তিন বছরের বেশি রাখা হয় না।

চসিক সূত্রে জানা গেছে, ২০১১ সালে পটিয়া পৌরসভা থেকে প্রেষণে তৎকালীন উপসহকারী প্রকৌশলী সালমা খাতুনকে চসিকে বদলি করা হয়। পরবর্তীতে ২০২১ সালে তিনি সহকারী প্রকৌশলী পদে পদোন্নতি পান। তবে চসিকের সাংগঠনিক কাঠামোতে প্রেষণে আসা কর্মকর্তাদের জন্য সহকারী প্রকৌশলীর কোনো পদ নেই। এরপরও চসিকেই বহাল থাকেন তিনি। উল্টো ২০২৩ সালের ২৪ এপ্রিল তাকে নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেয়া হয়। বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ ছিল চসিকের বিদ্যুৎ বিভাগে। এ বিষয়ে গত ২৯ এপ্রিল স্থানীয় সরকার বিভাগে এ কে এম হেলাল চৌধুরী নামে এক ব্যক্তি লিখিত অভিযোগও দেন।

এদিকে কোভিডকালীন চসিকের আইসোলেশন সেন্টারের জন্য জরুরি ভিত্তিতে যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম ক্রয় নিয়ে দুদকের একটি এনফোর্সমেন্ট প্রতিবেদন দেয়া হয়। এতে সালমা খাতুন সম্পর্কে বলা হয়– ‘ক্ষমতার অপব্যবহার পূর্বক আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার অসৎ উদ্দেশে বাজার মূল্যের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি মূল্যে সরাঞ্জামাদি ক্রয় করে সরকারের আর্থিক ক্ষতিসাধন করেছেন’। বিষয়টি অধিকতর তদন্ত করছে দুদক। দুদকের পত্রের প্রেক্ষিতে গত ২০ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার পরিচালককে এ বিষয়ে তদন্তপূর্বক মতামত দিতে বলা হয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকালুরঘাটে ফেরির সঙ্গে ধাক্কায় উল্টে গেল নৌকা, নিখোঁজ ২
পরবর্তী নিবন্ধউত্তাপ ছড়িয়ে কমছে কাঁচা মরিচের দাম