রাঙ্গুনিয়ায় আগুনে দগ্ধ হয়ে সুপ্তা দাশ (১৬) নামে এক কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার রাতে ঢাকা শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়। পরিবার বলছে রান্নাঘরের চুলা থেকে ওড়নায় আগুন লেগে তার শরীর ঝলসে যায়। তবে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে একই এলাকার এক তরুণের সাথে প্রেমের সম্পর্ক পরিবার মেনে না নেয়ায় সে নিজ শরীরে আগুন লাগিয়েছে।
নিহত সুপ্তা রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ড দাশপাড়া গ্রামের নলিনি দাশের মেয়ে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ২ নভেম্বর সকালে আগুনে ঝলসে যায় কিশোরী সুপ্তা। তাকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে গত ৯ নভেম্বর ঢাকা শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নেয়া হয়।
সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার রাতে সে মারা যায়। শনিবার (১১ নভেম্বর) লাশের ময়নাতদন্ত শেষে এদিন রাতে নিজ গ্রামে এনে দাহ করার কথা রয়েছে বলে জানান স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর জসিম উদ্দিন শাহ।
তিনি বলেন, “পরিবার থেকে আমাকে বলেছে, রান্নাঘরে কাজ করতে গিয়ে চুলা থেকে ওড়নায় আগুন লেগে তা পুরো শরীরে ছড়িয়ে গিয়ে পুড়ে গেছে। তবে বিষয়টি এখনো অস্পষ্ট। শোকাহত পরিবারটির সাথে এই নিয়ে বেশিকিছু বলা সম্ভব হয়নি। নিহত সুপ্তা পরিবারে তিন বোন ও দুই ভাইয়ের মধ্যে ছোট সন্তান ছিলো।”
এদিকে এই বিষয়ে ঘটনাস্থলে তদন্তে যান রাঙ্গুনিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) প্রদীপ কুমার মজুমদার। তিনি দগ্ধ হয়ে মারা যাওয়ার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, “পরিবারের লোকজনদের সাথে আমরা কথা বলেছি। তারা চুলা থেকে আগুন লেগে পুড়ে গেছে বলে জানান। অন্যদিকে প্রেমের সম্পর্ক মেনে না নেয়ায় নিজের গায়ে আগুন দিয়ে মারা গেছে বলেও স্থানীয়ভাবে শোনা যাচ্ছে। তবে বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃত ঘটনা বলা যাবে।”