প্রেমিকার বিয়ে ঠিক হয়েছে অন্য জায়গায়। তাকে হারাতে চায় না। তাই প্রেমিকাকে বিয়ে করার ব্যাপারে পরিবারের সম্মতি চায় স্কুলছাত্র শাহাদাত ইফাম (১৪)। কিন্তু এ ব্যাপারে পরিবার রাজি না হওয়ায় গত বৃহস্পতিবার রাতের কোনো একসময় নিজ ঘরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। এ খবরে তার সহপাঠীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে প্রেমিকার বাড়িতে গিয়ে তার অভিভাবককে শাসিয়ে আসে। বন্ধুর মৃত্যুর জন্য তারা দায়ী করে তাদের।
স্থানীয়রা জানান, সীতাকুণ্ড পৌরসদরের দক্ষিণ মহাদেবপুর (নলুয়াপাড়া) এলাকার এসএসসি পরীক্ষার্থী এক মেয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে পার্শ্ববর্তী মুরাদপুর ইউনিয়নের উকিলপাড়া গ্রামের মো. রফিক আলমের ছেলে এসএসসি পরীক্ষার্থী শাহাদাত ইফামের। সম্প্রতি প্রেমিকার অন্যত্র বিয়ে ঠিক হলে প্রেমিক ইফাম তাকে বিয়ে করতে নিজ পরিবারের সম্মতি চায়। কিন্তু তার পরিবার এত অল্প বয়সে ছেলেকে এখনই বিয়ে করাতে রাজি না হলে অভিমান করে গত বৃহস্পতিবার রাতে আত্মহত্যা করে বসে।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে স্কুলছাত্রের লাশটি উদ্ধার করে। পরে সুরতহাল তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ থানায় নিয়ে আসে। এসময় ইফামের বন্ধুরা থানায় গিয়ে জড়ো হয়। পরে পরিবারের লোকজন ও বন্ধুরা লাশ ময়নাতদন্ত করবে না মর্মে লিখিত দিয়ে বিনা ময়নাতদন্তে বাড়িতে নিয়ে যায়। পরে ইফামের বন্ধুরা ক্ষুব্ধ হয়ে সীতাকুণ্ড পৌরসদরের দক্ষিণ মহাদেবপুর নলুয়াপাড়া এলাকায় প্রেমিকার বাড়িতে গিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে।
সীতাকুণ্ড থানার ওসি মো. মজিবুর রহমান বলেন, পরিবারের বকুনি খেয়ে ছেলেটি নিজঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। খবর পেয়ে আমরা লাশ নিয়ে আসলে তার সহপাঠী ও অভিভাবকরা থানায় এসে ময়নাতদন্ত না করার জন্য লিখিত আবেদন করে নিয়ে যায়। পরে বন্ধুরা প্রেমিকার বাড়িতে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে বলে জানতে পেরেছি। কিন্তু এ বিষয়ে কেউ থানায় অভিযোগ দায়ের করেনি।