গত বছরের সেপ্টেম্বরে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে শিরোপা জয়ের পর প্রায় দশ মাস পরে আবার মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। আর ফেরার ম্যাচে নেপালের সাথে ১–১ গোলে ড্র করেছে বাংলাদেশ দল। ঘরের মাঠে নেপালের বিপক্ষে এগিয়ে থেকেও শেষ মুহুর্তের গোলে ১–১ গোলের ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় তাদের। হারের মুখে থাকা নেপাল সমতায় ফিরে দ্বিতীয়ার্ধের অতিরিক্ত সময়ে। আর তাতেই হাতছাড়া হয়ে যায় বাংলাদেশের জয়। কমলাপুরের বীরশ্রষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে ম্যাচের প্রথমার্ধে অনেকটা অচেনা ফুটবল খেলে স্বাগতিকরা। বোঝার উপায় ছিল না যে এই বাংলাদেশই সাফের ফাইনালে নেপালের হারিয়েছিল দাপট দেখিয়ে। বাংলাদেশ দলের ধারাবাহিক ছন্দ ব্যঘাত ঘটেছে অনেক দিন পর খেলতে নামায়। প্রথমার্ধে উল্লেখযোগ্য আক্রমণ করতে পারেনি কোনো দলই। বল দখলে স্বাগতিকরা এগিয়ে থাকলেও গোলকিপার বিমলা বিকেকে পরাস্ত করতে পারেনি কেউ। ম্যাচের ১৬ মিনিটে বাংলাদেশ প্রথম সুযোগ পায়। শিউলি আজিমের ক্রসে সাবিনার পাসে ৬ গজ দূরত্বে থেকে কৃষ্ণা রানি সরকার পা ছোঁয়ানোর আগেই সেটি ক্লিয়ার করেন নেপালের এক ডিফেন্ডার। ফাঁকে ফাঁকে নেপালও আক্রমণে ওঠে ভয় ধরানোর চেষ্টা করেছে। তবে নেপালের মূল অস্ত্র সাবিত্রা ভান্ডারিকে কড়া পাহাড়ায় রাখায় তারা গোলমুখ উন্মুক্ত করতে পারেনি। ফলে গোলশূন্য ভাবেই শেষ হয় প্রথমার্ধ।
দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণের ধার বাড়ায় বাংলাদেশ। ৬৫ মিনিটে অধিনায়ক সাবিনার গোলে এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। পাল্টা আক্রমণ থেকে শাহেদা আক্তার রিপার ডিফেন্স চেরা পাসই এনে দেয় গোলের ভিত্তি। অধিনায়ক সাবিনা দুই ডিফেন্ডারকে গতিতে পেছনে ফেলে ডান পায়ের দারুণ শটে পরাস্ত করেন নেপাল গোলরক্ষককে । এরপর ম্যাচে সমতা আনতে মরিয়া হয়ে ওঠে নেপাল। ৭৩ মিনিটে দুর্দান্ত এক সেভ করেছেন গোলরক্ষক রুপ্না চাকমা। ইনজুরি সময়ে বাংলাদেশের ডিফেন্ডারদের ভুলে হার বাঁচায় নেপাল। কোনাকুনি শটে লক্ষ্যভেদ করেন সাবিত্রা। তাতে হেড কোচ হিসেবে মাহবুবুর রহমান লিটুর অভিষেকটা হলো ড্র দিয়ে।