প্রিয় রাসূল (দ.) এই পৃথিবীর বুকে শুভাগমন করে জমিনকে করেছেন পবিত্র ও বিশুদ্ধতায় ভরপুর। আইয়্যামে জাহেলিয়তের চরম অন্ধকার যুগে সততা, ন্যায়পরায়ণতা ও ইনসাফ ভুলে যাওয়া মানুষদের মাঝে এনে দিয়েছেন সৌহার্দ্য–সম্প্রীতি, উদারতা–সহমর্মিতা, মানবতা ও ভালোবাসার অনুপম দৃষ্টান্ত। প্রিয় নবী (দ.) এর রেখে যাওয়া পথ হলো সিরাতুল মোস্তাকিম। যে পথে রয়েছে অনন্ত নিয়ামতের ভাণ্ডার। নবী (দ.) এর অনুকরণ–অনুসরণ ও ভালোবাসার পথ ধরে যারা অনন্য মর্যদায় উপবিষ্ট হয়েছেন তাঁদের মধ্যে স্মরণকালের শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্ব খলিফায়ে রাসূল (দ.) হযরত গাউছুল আজম (রা.)। শেষ যুগে এসে মানুষকে শরীয়তের জ্ঞান বিতরণের পাশাপাশি এমন এক তরিক্বত প্রতিষ্ঠা করেছেন যেখানে প্রিয় রাসুল (দ.) এর বাতেনী নূরের মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ আত্মশুদ্ধি করে একজন সাধারণ মানুষকে আলোকিত মানুষে পরিণত করেন।
গতকাল শুক্রবার বাদে জুমা রাজধানীর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ পূর্ব গেইট সম্মুখস্থ ময়দানে অনুষ্ঠিত ঐতিহাসিক এশায়াত সম্মেলনে উপস্থিত মুসলমানের উদ্দেশ্যে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কাগতিয়ার মোর্শেদে আজম এসব কথা বলেন।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট ও সিনেট সদস্য এবং মুনিরীয়া যুব তবলীগ কমিটি বাংলাদেশের সিনিয়র সহ–সভাপতি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আবুল মনছুরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এশায়াত সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ জমিয়তুল মোদার্েরছীনের মহাসচিব আল্লামা শাব্বির আহমদ মোমতাজী, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের গভর্নর ড. মাওলানা মুহাম্মদ কফিল উদ্দীন সরকার ছালেহী, সংগঠনের কানাডা শাখার সভাপতি মীর মুহাম্মদ কায়কোবাদ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় গণিত বিভাগের প্রফেসর ড. জালাল আহমেদ প্রমুখ। সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন মাওলানা মোহাম্মদ রকিব উদ্দীন, মাওলানা মুহাম্মদ জসিম উদ্দিন নূরী, মাওলানা মুহাম্মদ ফোরকান, মাওলানা মুহাম্মদ জসিম উদ্দিন। প্রধান আলোচক ছিলেন সংগঠনের মহাসচিব অধ্যাপক মোহাম্মদ ফোরকান মিয়া। সম্মেলন শেষে প্রধান অতিথি প্রিয় নবীজির উসিলায় এবং খলিফায়ে রাসূল (দ.) এর এখলাসের সাদকায় দেশ জাতির উন্নয়ন, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির জন্য বিশেষ মোনাজাত করেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।