প্রিমিয়ার ভার্সিটিতে আন্তর্জাতিক পাই দিবস উদযাপন

| বুধবার , ১৫ মার্চ, ২০২৩ at ১০:২৩ পূর্বাহ্ণ

প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি গণিত বিভাগের উদ্যোগে ইউনেস্কো ঘোষিত আন্তর্জাতিক পাই দিবস উদযাপন করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার ইউনিভার্সিটির দামপাড়াস্থ ভবনে এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য প্রফেসর ড. অনুপম সেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপউপাচার্য প্রফেসর ড. কাজী শামীম সুলতানা, ট্রেজারার প্রফেসর একেএম তফজল হক ও প্রকৌশল ও বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. তৌফিক সাঈদ। সভাপতি ও সঞ্চালক ছিলেন গণিত বিভাগের চেয়ারম্যান ইফতেখার মনির। প্রধান অতিথি বলেন, আমাদের জীবন তো গণিত ছাড়া চলেই না।

যে লেখাপড়া কম জানে বা একেবারেই জানে না, তাকেও কিছুটা অংক জানতে হয়। ফলে বলা যায়, আন্তর্জাতিক গণিত দিবসের তাৎপর্য বিরাট। তিনি উল্লেখ করেন, একসময় রোমান হরফে সংখ্যা লেখা হতো। সংখ্যাগুলো অনেক বড়ো বড়ো হতো। বস্তুত রোমান হরফে সংখ্যা লেখা ছিল একটা জটিল প্রক্রিয়া। এই উপমহাদেশের গণিতবিদদের শূন্য আবিষ্কার অংকশাস্ত্রকে মুক্তি দিয়েছে। শূন্য আবিষ্কারের ফলে অনেক বড়ো বড়ো সংখ্যার লিখন ও পঠন একেবারে সহজ হয়ে গেছে। তিনি আরও বলেন, একসময় বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে লোকজন জ্ঞান অর্জনের জন্য এথেন্সে প্লেটোর একাডেমিতে যেত। একাডেমিতে লেখা ছিল ‘যিনি গণিত জানেন না, তাঁর একাডেমিতে আসার প্রয়োজন নেই’। এই একাডেমি আটশ বছর টিকেছিল।

উপউপাচার্য বলেন, জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে জেনেনা জেনে আমরা গণিত ব্যবহার করি। এ কারণে শিশু শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত গণিত বাধ্যতামূলক। তিনি গণিতকে একটা টুল উল্লেখ করে বলেন, প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার সব বিষয়ে গণিতকে ব্যবহার করতে হয়। তিনি শূন্যর কনসেপ্ট ও ব্যবহার নিয়েও কথা বলেন। অনুষ্ঠানে দাবা, বাস্কেটবল ও ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন ও রানার আপদের পুরস্কার বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে বিভাগের শিক্ষার্থীদের তৈরি গণিত বিষয়ক বিভিন্ন প্রজেক্ট এবং শিক্ষকশিক্ষার্থীদের গবেষণামূলক কাজ নিয়ে একটি প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। প্রধান অতিথিসহ অন্য অতিথিবৃন্দ প্রদর্শনী দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবাঁশখালীতে মোছলেম উদ্দিন স্মরণে সভা
পরবর্তী নিবন্ধলংগদুতে স্পিডবোট দুর্ঘটনায় নিহত ১