প্রিমিয়ার ক্রিকেটে রানার্স আপ পাইরটেস অব চিটাগাং

ক্রীড়া প্রতিবেদক | শুক্রবার , ১৮ মার্চ, ২০২২ at ৮:৪৭ পূর্বাহ্ণ

পারলনা ফ্রেন্ডস ক্লাব। জয়ের কাছাকাছি গিয়েও শেষ পর্যন্ত ফিরতে হয়েছে পরাজয় নিয়ে। জিতলে প্রিমিয়ার লিগের রানার্স আপ । এমন সমীকরন নিয়ে পাইরেটস অব চিটাগাং এর মুখোমুখি হয়েছিল ফ্রেন্ডস ক্লাব। রান বন্যার ম্যাচে শেষ পর্যন্ত পাইরেটস অব চিটাগাং এর কাছে ১৮ রানে হেরেছে ফ্রেন্ডস ক্লাব। ফলে তাদের সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে তৃতীয় স্থান নিয়ে। আর পাইরেটস অব চিটাগাং শিরোপা হাতছাড়া করলেও রানার্স ট্রফি জিতেছে। লিগের গত আসরের রানার্স আপ পাইরেটস অব চিটাগাংকে এবারেও রানার্স আপ হয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হলো। লিগের গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে এবং সুপার ফোর পর্বের প্রথম ম্যাচে হারাটা কপাল পুড়েছে পাইরেটসের। গতকাল রানার্স আপ ট্রফি লাভের ম্যাচে ফ্রেন্ডস ক্লাবকে হারিয়েছে পাইরেটস। ছয়শ’র বেশি রানের এই ম্যাচে সেঞ্চুরি করেছেন পাইরেটসের দুই ব্যাটসম্যান। ফ্রেন্ডস ক্লাবের আলিফ এবং সুমন মিলে দারুন জবাব দিলেও শেষ হাসিটা হাসতে পারেনি তারা।
জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সকালে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমেছিল পাইরেটস অব চিটাগাং। দুই ওপেনার কামরুল এবং আরমান দারুন শুরু করেছিলেন। ১৩৫ রানে গিয়ে বিচ্ছিন্ন হন দুজন। ৮৭ বলে ৫৪ রান করে ফিরেন আরমান। এরপর আনিসুল ইসলামকে নিয়ে আরো ৩২ রান যোগ করেন কামরুল। সেখানে অবশ্য আনিসুলের অবদান মাত্র ৭ রান। তৃতীয় উইকেটে আসিফকে নিয়ে অবশ্য ৯ রানের বেশি যোগ করতে পারেননি কামরুল। ফিরেছেন সাদ্দামের বলে। তবে ফেরার আগে ১০৭ বলে ১০ টি চার এবং ২টি ছক্কার সাহায্যে ১০০ রান করে আসেন কামরুল। লিগে এটি তার প্রথম সেঞ্চুরি। তবে এবারের লিগে প্রথম সেঞ্চুরিটি করেছিলেন বাংলাদেশ দলের সাবেক ব্যাটসম্যান রাকিবুল হাসান। তিনি খেলেছিলেন ব্রাদার্স ইউনিয়নের পক্ষে। কামরুল ফিরে আসার পর আসিফ ঝড়ো ব্যাটিংয়ে একাই টেনে নিয়ে গেছেন দলকে। দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি তুলে নেন । মাত্র ৫৩ বলে ১১টি চার এবং ৫টি ছক্কার সাহায্যে ১০১ রান করে ফিরেন সাদ্দামের বলে। এরপর রাজিব করেন ২২ রান। আর তাতে পাইরেটস অব চিটাগাং ৩১১ রানের পাহাড়ে চড়ে। গতকালের দুটি সহ এবারের লিগে মোট সেঞ্চুরি হয়েছে তিনটি। ফ্রেন্ডস ক্লাবের পক্ষে ৩২ রানে ৪টি উইকেট নিয়েছেন সাদ্দাম। ৯ জন বোলার ব্যবহার করেও পাইরেটসের রানের স্রোতে বাধ দিতে পারেনি ফ্রেন্ডস ক্লাব।
৩১২ রানের বিশাল টার্গেট। আর সে টার্গেটের পেছনে ছুটতে গিয়ে শুরুটা ভাল ছিল ফ্রেন্ডস ক্লাবেরও। দুই ওপেনার ৭৮ রান যোগ করেন। ৩৮ রান করে উদয় ফিরলে ভাঙ্গে এজুটি। দ্বিতীয় উইকেটে আলিফ এবং ইশতিয়াক মিলে যোগ করেন ৪০ রান। ১৬ রান করে ফিরেন ইশতিয়াক। দলকে ১৩০ রানে পৌছে দিয়ে ফিরেন আলিফ। ৮৫ বলে ৬টি চারের সাহায্যে ৬৭ রান করেন এই ওপেনার। এরপর জুটি বেধে দলকে এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন সাকিব এবং সুমন। দুজন যতক্ষণ ব্যাট করছিলেন ততক্ষন মনে হচ্ছিল ম্যাচ ফ্রেন্ডস ক্লাবের নাগালেই ছিল। কিন্তু কামরুল এসে এজুটি ভাঙ্গার পর আর কোমর সোজা করে দাড়াতে পারেনি ফ্রেন্ডস ক্লাব। এদুজনের ১১০ রানের জুটি ভাঙ্গার পর কামরুলের বোলিং তোপের মুখে পড়ে ২৯৩ রানে থামে ফ্রেন্ডস ক্লাবের ইনিংস। সাকিব ৫৩ বলে ৪৪ এবং সুমন ফিরেন ৫৫ বলে ৭২ রান করে। তার ইনিংসে ৬টি চার এবং ৩টি ছক্কার মার ছিল। শেষ দিকে হিমেলের ১১ বলে ১১ এবং ইকবালের ৮ বলে ১৭ রানের ইনিংস আফসোস বাড়িয়েছে ফ্রেন্ডস ক্লাবের। পাইরেটস অব চিটাগাং এর কামরুল ইসলাম ৩৬ রানে নিয়েছেন ৪টি উইকেট। ২টি উইকেট নিয়েছেন পিটার। অল রাউন্ড নৈপূন্যের জন্য ম্যাচ সেরা হয়েছেন পাইরেটস অব চিটাগাং এর কামরুল ইসলাম। তার হাতে পুরষ্কার তুলে দেন পাইরেটস অব চিটাগাং এর সভাপতি আহসান ইকবাল চৌধুরী আবির। এ সময় ম্যাচ রেফারী আলী নেওয়াজ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধওমানকে হারিয়ে হকিতে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
পরবর্তী নিবন্ধআর্চারিতে রিকার্ভ এককের ফাইনালে বাংলাদেশের দিয়া-নাসরিন