সপ্তাহ দুয়েক আগেও হামজা চৌধুরী এবং তার দল শেফিল্ড ইউনাইটেড ছিল দুর্দান্ত ছন্দে। ইংলিশ চ্যাম্পিয়নশিপে ক্রিস ওয়াইল্ডের দল ছিল সরাসরি প্রিমিয়ার লিগে ফেরার কক্ষপথে। তবে টানা তিন ম্যাচ হেরে বেশ অনেকটা বিপাকেই পড়ে গিয়েছে শেফিল্ড ইউনাইটেড। সবশেষ হেরেছে ঘরের মাঠে প্লিমাউথের কাছে। ২–১ গোলের সেই হারের ফলে প্রিমিয়ার লিগে ফেরার পথও কঠিন হচ্ছে হামজার জন্য। প্লিমাউথের ঘরের মাঠে প্রথম লিড নিয়েছিল শেফিল্ডই। জেসেরুন রাক–সাকি’র গোলে ১–০ তে এগিয়ে যায় শেফিল্ড। পরে অবশ্য ৮১ মিনিটে মোহাম্মদ তিজানি এবং রায়ান হার্ডির গোলে ২–১ গোলের জয় নিশ্চিত করে স্বাগতিক প্লিমাউথ। এই হারের পর চ্যাম্পিয়নশিপে টানা তিন হার নিশ্চিত হয়েছে দলটির জন্য। অক্সফোর্ড এবং মিলওয়ালের বিপক্ষে ১–০ গোলে হারের পর প্লিমাউথের কাছে এই হারে সরাসরি প্রিমিয়ার লিগে ফেরা অনেকটাই কঠিন হচ্ছে শেফিল্ডের জন্য। শীর্ষে থাকা লিডস ইউনাইটেড এবং বার্নলি দুই দলেরই পয়েন্ট ৮৮। যেখানে সমান ম্যাচ খেলা শেফিল্ডের পয়েন্ট ৮৩। শেষ ৫ লিগ ম্যাচে নিজেদের সেরা দুইয়ে আনতে না পারলে খেলতে হবে প্লে–অফ। সেখান থেকে আসতে হবে প্রিমিয়ার লিগে। এদিকে লোনের মেয়াদ শেষে লেস্টার সিটিতে ফিরলেও প্রিমিয়ার লিগে খেলা অনিশ্চিত থেকে যাচ্ছে হামজার জন্য। ৩২ ম্যাচে মোটে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে ১৯তম স্থানে আছে লেস্টার। খুব নাটকীয় কিছু না ঘটলে প্রিমিয়ার লিগে টিকে থাকা হচ্ছে না লেস্টার সিটির। তারাও অবনমিত হবে চ্যাম্পিয়নশিপ ফুটবলে। আর লেস্টার যদি হামজাকে দলে ফিরিয়ে আনে, তবে হামজার ঠিকানা চ্যাম্পিয়নশিপেই থেকে যাবে। সেক্ষেত্রে কেবল শেফিল্ডের হয়ে প্রিমিয়ার লিগে ফিরতে পারলে এবং শেফিল্ড তাকে দলে ধরে রাখলেই আগামী মৌসুমে ইংলিশ ফুটবলের সর্বোচ্চ পর্যায়ে দেখা যাবে বাংলাদেশের হামজা চৌধুরীকে।