চট্টগ্রাম নগরের বেসরকারি প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ে আগামী দুদিনের মধ্যে উপাচার্য, উপ–উপাচার্য নিয়োগ না দিলে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। গতকাল শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জিইসি ক্যাম্পাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও সাধারণ শিক্ষার্থীর ব্যানারে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়। এ সময় তারা এ ঘোষণা দেন।
শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে গত ৬ ডিসেম্বর পদত্যাগ করেছিলেন প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ–উপাচার্য, ট্রেজারার ও প্রক্টর। পদত্যাগের ২২ দিনেও এসব পদে নতুন কাউকে নিয়োগ দেওয়া হয়নি। প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ এসব পদে কেউ না থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ে নানা সমস্যা হচ্ছে। এজন্য দ্রুত উপাচার্য, উপ–উপাচার্য ও ট্রেজারার পদে লোকবল নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। দুদিনের মধ্যে এ তিন পদে নিয়োগ না হলে সমাবেশের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীরা বলেন, উপাচার্য ছাড়া আমাদের ক্যাম্পাস বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের চারটা ক্যাম্পাস রয়েছে। সকল কর্মকর্তা–কর্মচারীর বেতন–ভাতাসহ নানাবিধ খরচের বিষয় রয়েছে, যাতে ভিসি এবং ট্রেজারারের স্বাক্ষরের প্রয়োজন। এছাড়া সনদ তুলতে উপাচার্যের স্বাক্ষর লাগে। এখন এই বিশ্ববিদ্যালয় যদি বন্ধ হয়ে যায়, এই দায়ভার শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে নিতে হবে। তারা বলেন, মন্ত্রণালয়কে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে একজন সৎ, নিষ্ঠাবান ও জুলাই স্পিরিট ধারণ করে এমন কাউকে আমাদের ভিসি, প্রো–ভিসি বা ট্রেজারার হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার জন্য। এছাড়া বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের গুম, খুন ও গুপ্তহত্যার সঙ্গে জড়িতদের বিচারের দাবি জানানো হয়।