চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন ২০২৪ সালের জুলাই–আগস্টের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী ছাত্র–ছাত্রী ও শহীদদের স্মরণ করে বলেছেন, শুধু ২০২৪ সালের জুলাই–আগস্টে নয়, আজকের এই দেশ যে–ভিত্তির উপর দাঁড়িয়ে আছে, ৫২–র ভাষা আন্দোলন, ৭১–এর মুক্তিযুদ্ধ ও ৯০–এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন প্রতিটি জায়গায় ছাত্রছাত্রীদের ভূমিকা রয়েছে। তিনি উল্লেখ করেন, সাড়ে তিন বছর আগে যখন আমি নির্বাচন করি, জোর করে যখন আমাকে হারিয়ে দেওয়া হয়। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের আন্দোলনের ফলশ্রুতিতে যে–নতুন বাংলাদেশ হয়েছে, সেখানে আমার এই রায়ের মাধ্যমে আমি মনে করেছি বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ফিরে এসেছে, আইনের শাসন ফিরে এসেছে, যেটার জন্য আমরা লড়াই করছিলাম অনেক বছর ধরে। আমরা মানুষের মৌলিক অধিকার, গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষার জন্য সংগ্রাম করেছি। এই লড়াই এখনও চলছে একটি বৈধ নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত। কাজেই ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করার দায়িত্ব দেশের ১৭ কোটি মানুষের। তাদের সংগ্রাম করতে হবে।
তিনি প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগ, স্থাপত্য বিভাগ, গণিত বিভাগ ও ফ্যাশন ডিজাইন এন্ড টেকনোলজি বিভাগের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত উইন্টার কার্নিভাল এন্ড পৌষ পার্বণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। গত বুধবার, অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ২০০১–২০১৬ পর্যন্ত প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের অধিনেই ছিল। সিটি কর্পোরেশনের বৈধ সম্পত্তি প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি। ছাত্র–ছাত্রীদের যে–আন্দোলন হয়েছে, তার ফলশ্রুতিতে আজকে আমরা সেটা পেয়েছি। প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষার সুন্দর পরিবেশ বজায় রাখার জন্য শিক্ষার্থীদের আহ্বান জানান। ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী মৃত্তিকা দাশগুপ্তা ও শাহরিয়ার আবরার এবং গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী শোয়েব হাসান মুরাদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ ইফতেখার মনির, উৎসবের পৃষ্ঠপোষক রেজাউল করিম রণি এবং চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সিনিয়র সদস্য মো. আমিনুল ইসলাম। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মোহাম্মদ ইফতেখার মনির বলেন, কয়েকটি বিভাগের একত্র হয়ে একটি অনুষ্ঠান করার মধ্যে চ্যালেঞ্জ থাকে, ফলে ভিন্নমাত্রা থাকে। এই অনুষ্ঠানেও ভিন্নমাত্রা রয়েছে। চারটি বিভাগের ছাত্র–ছাত্রীরা সুনিপুণভাবে এই উৎসবটি সম্পন্ন করছে। অনুষ্ঠানে অর্ধ শতাধিক পিঠার স্টল ছিল। স্টলগুলোতে বহু রকমের পিঠা ও খাবারের প্রদর্শনী ছিল। কোনো কোনো স্টলে পিঠা ও খাবারের পাশাপাশি কাপড় ও গহনা প্রদর্শন করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের সহকারী ডিন প্রফেসর এম. মঈনুল হক, সিএসই বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. সাহীদ মো. আসিফ ইকবাল, আইন বিভাগের চেয়ারম্যান তানজিনা আলম চৌধুরী, অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যান ফারজানা ইয়াসমিন চৌধুরী, ফ্যাশন ডিজাইন এন্ড টেকনোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান সঞ্জয় কুমার দাশ, সহকারী প্রক্টরবৃন্দ, চকবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ মো. জাহেদুল কবির। উপস্থিত ছিলেন ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগ, স্থাপত্য বিভাগ, গণিত বিভাগ ও ফ্যাশন ডিজাইন এন্ড টেকনোলজি বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।