প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির সমাজতত্ত্ব এবং টেকসই উন্নয়ন বিভাগের ফল–২০২৪ সেশনের একাদশ ব্যাচের ওরিন্টেশন গত ২৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য প্রফেসর ড. অনুপম সেন। বিভাগের কোঅর্ডিনেটর ড. সাদিকা সুলতানা চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রক্টর আহম্মেদ রাজীব চৌধুরী। প্রধান অতিথি বলেন, যখন থেকে মানবসমাজ সামাজিকভাবে বাস করতে শুরু করেছে, তখন থেকেই মানুষ সমাজ নিয়ে ভেবেছে। এই ভাবনাকেই আমরা বলতে পারি লোকজ্ঞান। সমাজকে বিশ্লেষণ করে যখন সমাজকে মানুষের জন্য ভালোভাবে বাসযোগ্য করার কথা ভাবা হয়েছে যুক্তিকে অবলম্বন করে, তখন থেকেই সমাজবিজ্ঞানের বিকাশ শুরু হয়েছে। ড. সেন বলেন, সমাজবিজ্ঞান একটি বিশাল বিষয়, যেখানে সংমিশ্রণ ঘটেছে অর্থনীতি, পৌরবিজ্ঞান, দর্শন, নৃ–বিজ্ঞান, ইতিহাস, নীতিশাস্ত্র ইত্যাদির। যেহেতু মানুষ সমাজে বাস করে, সেহেতু আজ প্রায় বিশ্বের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে, যারা বিজ্ঞান, ব্যবসা–বিষয়, চিকিৎসা বিজ্ঞান ইত্যাদি বিষয় পড়ে তাদের জন্য সমাজবিজ্ঞান একটি অবশ্য–পাঠ্য বিষয়। কারণ প্রকৌশল বা চিকিৎসা বিজ্ঞান বা অন্যান্য পাঠযোগ্য বিষয় সবই তো সমাজের জন্য, সমাজের মানুষের প্রয়োজনে।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন একাদশ ব্যাচের অ্যাডভাইজার প্রভাষক জান্নাতুল ফেরদৌস। স্বাগত বক্তব্যে কোর্স কারিকুলাম বিষয়ে দিক–নির্দেশনা দেওয়া হয়। বিভাগের শিক্ষক আব্দুল্লাহ আল মোজাহিদ তাঁর বক্তব্যে সমাজতত্ত্ব পাঠের গুরুত্ব সম্পর্কে আলোকপাত করেন। প্রক্টর আহম্মেদ রাজীব চৌধুরী ইউনিভার্সিটির কোড অব কন্ডাক্ট মেনে চলার দিক–নির্দেশনা দেন। নতুনদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেন দশম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা। শিক্ষক অর্পা পালের সঞ্চালনায় সভাপতির বক্তব্যে ড. সাদিকা সুলতানা চৌধুরী সমাজতাত্ত্বিকদের বিভিন্ন আলোচনার মাধ্যমে সমাজতত্ত্ব কীভাবে মানবিক চিন্তাধারার ক্রমবিকাশে শিক্ষার্থীদের সহায়ক হবে সে বিষয়ে আলোকপাত করেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।