চট্টগ্রাম কাস্টমসে গতকাল অনুষ্ঠিত প্রকাশ্য নিলামে ১১০ টন গুঁড়ো দুধের সর্বোচ্চ দর উঠেছে ১ কোটি ১১ লাখ টাকা। চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ গুঁড়ো দুধের সংরক্ষিত দাম নির্ধারণ করে ৩ কোটি ৩৩ লাখ ৭৭ হাজার ৯৬৩ টাকা। নগরীর স্টেশন রোডের শাহ আমানত ট্রেডিং সর্বোচ্চ দরদাতা নির্বাচিত হন। অন্যদিকে সাড়ে ২১ টন মাল্টা ৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা বিড করে সর্বোচ্চ দরদাতা হন রিয়াজউদ্দিন বাজারের রফিক অ্যান্ড ব্রাদার্স। এছাড়া মাল্টার একটি লটে সর্বোচ্চ দরদাতা হন ৬ লাখ ৭৫ হাজার টাকা।
পাহাড়তলীর ফয়’স লেক এলাকা মোহাম্মদ সাজ্জাদুল চৌধুরী সর্বোচ্চ দরদাতা নির্বাচিত হন। এছাড়া আদার লটে ৯ লাখ ৭০ হাজার টাকা বিড করে সর্বোচ্চ দরদাতা হন মোহাম্মদ মোরশেদুল ইসলাম। এছাড়া আদার অপর একটি লটে ১০ লাখ ২০ হাজার বিড করে সর্বোচ্চ দরদাতা নির্বাচিত হন জামাল খান লেইনের এয়াকুব চৌধুরী। চট্টগ্রাম কাস্টমসের নিলাম সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পচনশীল পণ্য আমদানিকারক খালাস না নিলে দ্রুত নিলাম করার কথা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) স্থায়ী আদেশে রয়েছে। কিন্তু চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষের সংশ্লিষ্ট শাখার কর্মকর্তাদের অনীহার কারণে সেই আদেশ এখনো বাস্তবায়িত হচ্ছে না। যথাসময়ে নিলামে না তোলার কারণে কন্টেনারে নষ্ট হচ্ছে পণ্য। অনেকক্ষেত্রে পণ্যের গুণগত মাস নষ্ট হওয়ার কারণে নিলামে তোলার পরে কাঙ্ক্ষিত দর উঠছে না। জানতে চাইলে চট্টগ্রাম কাস্টমসের উপ–কমিশনার ব্যারিস্টার বদরুজ্জামান মুন্সি বলেন, বন্দর ইয়ার্ড খালি করার জন্য আমরা এখন থেকে পচনশীল পণ্য দ্রুত নিলামের উদ্যোগ নিয়েছি। এই কার্যক্রম চলমান থাকবে।
উল্লেখ্য, আমদানিকৃত পণ্য জাহাজ থেকে বন্দর ইয়ার্ডে নামার ৩০ দিনের মধ্যে সরবরাহ নিতে হয়। এই সময়ের মধ্যে কোনো আমদানিকারক পণ্য সরবরাহ না নিলে তাকে নোটিশ দেয় কাস্টমস। নোটিশ দেওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে পণ্য সরবরাহ না নিলে তা নিলামে তুলতে পারে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। এছাড়া মিথ্যা ঘোষণায় জব্দ পণ্যও নিলামে তোলা যায়। সর্বমোট ৪৫ দিনের মধ্যে নিলামে তোলার এই নিয়ম দীর্ঘদিন ধরে কার্যকর করতে পারেনি বন্দর ও কাস্টমস।