বিশ্বজুড়ে বর্তমানে জীবিত থাকা ৩৭ কোটিরও বেশি বালিকা ও নারী বা প্রতি আটজনের মধ্যে একজন বয়স ১৮ বছর হওয়ার আগেই ধর্ষণ বা যৌন হেনস্তার কবলে পড়েছেন বলে জাতিসংঘের শিশু বিষয় সংস্থা জানিয়েছে। খবর বিডিনিউজের।
এর সঙ্গে যদি স্পর্শ–বিহীন যৌন সহিংসতাগুলোকেও আমলে নেওয়া হয় তাহলে সংখ্যাটি বেড়ে ৬৫ কোটি বা প্রতি পাঁচজনের একজনে হয় বলে বুধবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ইউনিসেফ। স্পর্শ–বিহীন যৌন সহিংসতার মধ্যে অনলাইনে বা মৌখিকভাবে করা যৌন হেনস্তা উল্লেখযোগ্য।
ইউনিসেফ বলছে, এটিই বিশ্বব্যাপী যৌন সহিংসতা সমস্যা বিষয়ক প্রথম জরিপ। সংস্থাটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এসব ঘটনার মাধ্যমে নারী ও বালিকারা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হলেও ২৪ থেকে ৩১ কোটি বালক ও পুরুষের শিশুকালে ধর্ষণ ও যৌন হেনেস্তার মতো অভিজ্ঞতা আছে।
প্রতিবেদনটি প্রকাশের সময় ইউনিসেফ বলেছে, মানবাধিকার লঙ্ঘনের মাত্রা অত্যন্ত বেশি। তথ্য সংগ্রহে সীমিত বিনিয়োগ, ঘটনা মূল্যায়ন করার চ্যালেঞ্জ ও কলঙ্কের শঙ্কার কারণে এ লঙ্ঘনের পুরোটা উপলব্ধি করা কঠিন। আগামী মাসে দক্ষিণ আমেরিকার কলম্বিয়ায় শিশুদের বিরুদ্ধে সহিংসতা বন্ধ করার বিষয়ে বিশ্ব মন্ত্রীপর্যায়ের সম্মেলনের উদ্বোধনকে সামনে রেখে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে ইউনিসেফ।
সংস্থাটি বলছে, তাদের জরিপে যে তথ্য উঠে এসেছে তা যৌন সহিংসতার বিষয়টি জানানো ও শনাক্ত করতে শিশুদের সাহায্য করতে ও আইন কঠোর করার মতো পদক্ষেপগুলো নিতে বিশ্বব্যাপী জোরালো উদ্যোগ নেওয়ার জরুরি প্রয়োজনকে তুলে ধরেছে। ইউনিসেফ বলছে, যৌন সহিংসতা ভৌগলিক, সাংস্কৃতিক ও অর্থনীতি অনুসারে নির্ধারিত হওয়ার বিষয়টি অতিক্রম করে গেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ধর্ষণ ও যৌন হেনস্তার কবলে পড়া সবচেয়ে বেশি বালিকা ও নারী আছে সাহারা মরুভূমির দক্ষিণের দেশগুলোতে।
ওই অঞ্চলের সাত কোটি ৯০ লাখ বালিকা ও নারী যৌন সহিংতার কবলে পড়েছিলেন বা ২২ শতাংশ এ ধরনের অভিজ্ঞার মধ্য দিয়ে গেছেন। এরপর আছে পূর্ব ও দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়া। এখানে ধর্ষণ ও যৌন হেনস্তার কবলে পড়া বালিকা ও নারীর সংখ্যা সাত কোটি ৫০ লাখ বা অঞ্চলটির ৮ শতাংশ নারী ও বালিকা এ ধরনের অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে গেছেন।