প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষার ক্ষেত্রে ৯৩ শতাংশ শিক্ষক নিয়োগ মেধার ভিত্তিতে হবে, থাকছে না কোন পোষ্য কোটা। উপদেষ্টা বলেন, প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে প্রাথমিকের বাজেট বৃদ্ধি সময়ের দাবি। সেইসাথে প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে শিক্ষক নিয়োগে প্রি–সার্ভিস প্রশিক্ষণের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন তিনি। খবর বাসসের।
উপদেষ্টা গতকাল খুলনা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে খুলনা বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, প্রাথমিক পর্যায়ে মানসম্মত শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলা প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একার পক্ষে সম্ভব নয়, এজন্য দরকার সমাজের সকলের সামগ্রিক অংশগ্রহণ। এ লক্ষ্য অর্জনে তিনি সবার সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি আরো বলেন, সকলের সহযোগিতায় শিশুদের সাক্ষর করে গড়ে তোলা সম্ভব।
১ জানুয়ারি বই উৎসব হচ্ছে না : মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার জানিয়েছেন, নতুন করে বইয়ের টেন্ডার ও সংস্কারের কারণে বিগত বছরগুলোর মতো আসছে ১ জানুয়ারি বই উৎসব হচ্ছে না। তবে জানুয়ারি মাসের মধ্যেই প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের হাতে বই পৌঁছে দেয়া হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।
তিনি জানান, একটি দেশকে বই ছাপানোর জন্য টেন্ডার দেয়া হয়েছিল, তবে তা বাতিল করা হয়েছে। নতুন বইয়ে বেশ কিছু সংস্কার ও সংযোজন করা হচ্ছে। যে কারণে বই ছাপাতে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। তিনি জানান, নতুন বইয়ে গণঅভ্যুত্থানের নানা চিত্র তুলে ধরা হবে।
প্রাথমিক ও শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, এছাড়া উপবৃত্তিসহ প্রাথমিক শিক্ষার অন্যান্য সমস্যাগুলোও পর্যায়ক্রমে সমাধান করা হবে। আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে পর্যায়ক্রমে দেশের সকল প্রাথমিক বিদ্যালয় মিড–ডে–মিল এর আওতায় আসবে। প্রথম পর্যায়ে দেশের একশত ৫০টি উপজেলার সকল বিদ্যালয়ে এটি চালু হবে। তিনি আরো বলেন, দক্ষিণ এশিয়াতে কেবল বাংলাদেশে শিক্ষাখাতে বরাদ্দ সবচেয়ে কম, বাজেটের মাত্র দুই শতাংশ। কিন্তু ইউনেস্কোর মতে, শিক্ষাখাতে বরাদ্দ বাজেটের ছয় শতাংশ হওয়া উচিত। শিক্ষকদের আর্থিক ও সামাজিক মর্যাদার উন্নতি ঘটানো এখন সময়ের দাবি।












