প্রাণী রক্ষায় সচেতনতা জরুরি

নেজাম উদ্দিন | সোমবার , ৫ অক্টোবর, ২০২০ at ১০:৩৪ পূর্বাহ্ণ

বরাবারের মতই আমরা প্রাণীদের হত্যা করছি, তাদের আবাসস্থল ধ্বংস করে যাচ্ছি। প্রভাবশালীরা ক্ষমতার জোরে বন দখল করে প্রাণীর বাসস্থানের পরিবেশ নষ্ট করে দিচ্ছে। ২০০৪ সালে যেখানে ৪৪০টি বাঘের সংখ্যা ছিল সুন্দরবনে ২০১৬ সালে এসে সে সংখ্যা দাঁড়ায় ১০৬ এ। লোভ আর হিংস্রতা বোঝাতে যে প্রাণীটির উদাহরণ দেওয়া হয়, সেটা হায়েনা। রাজশাহীর বরেন্দ্র এলাকার ঊষর লাল মাটিতে উনিশ শতকের শেষের দিকেও ঘুরে বেড়াত ধূসর হায়েনার দল। তবে এখন বরেন্দ্র তো বটেই, বাংলাদেশের কোথাও হায়েনা নেই। একসময় এ দেশে গন্ডারও ছিল। গত ১০০ বছরে বাংলাদেশ ভূখণ্ড থেকে চিরতরে হারিয়ে গেছে এমন ৩১ প্রজাতির বেশি প্রাণী। এখনি যদি আমরা প্রাণী রক্ষায় এগিয়ে না আসি তবে অদূর ভবিষ্যতে দেশের জাতীয় পশু বাঘ শূন্য হয়ে পড়বে। সেই সাথে ক্রমশই কমছে হাতির সংখ্যা থেকে শুরু বহু প্রজাতির বন্য প্রাণীর সংখ্যা। বাংলাদেশের ১ হাজার ৬১৯ প্রজাতির বন্য প্রাণীর কোনটির কী অবস্থা, সে-বিষয়ক লাল তালিকা বা রেড লিস্টের হালনাগাদ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। ২০১২ সালের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী বাঘ ও হাতি হত্যায় সর্বোচ্চ শাস্তি সাত বছরের কারাদণ্ড এবং ১০ লাখ টাকা জরিমানা ধার্য করা হয়েছে। কিন্তু তারপরও বাঘ থেকে শুরু বন্যপ্রাণী মারার ঘটনা ঘটে চলেছে বাংলাদেশে। তার ওপর আছে চোরাকারবারিদের উপদ্রব। তাই বনের প্রাণী রক্ষায় সচেতনতার বিকল্প নেই।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসরকারি মূল্যবান সম্পদ রেলওয়ের সৃজনকৃত গাছ কাটা বন্ধ করা হোক
পরবর্তী নিবন্ধ‘ভুল’