সাতকানিয়ায় বিয়ের আগের অন্তরঙ্গ ছবি শ্বশুরবাড়ির লোকজনের নিকট পাঠানোর কথা বলে প্রাক্তন প্রেমিক হুমকি দেয়ায় গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন এক গৃহবধূ। তার নাম মোরশেদা খানম মুন্নি (২৭)। গতকাল শনিবার সকালে উপজেলার কাঞ্চনা ইউনিয়নের গুড়গুড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গৃহবধূ মুন্নি গুড়গুড়ি পশ্চিম পাড়ার সৌদি আরব প্রবাসী নুরুন্নবীর স্ত্রী।
এলাকাবাসী জানান, গৃহবধূ মুন্নির সাথে বিয়ের আগে মাদার্শা এলাকার আবদুর রহিম নামের একজনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু পরবর্তীতে মুন্নির সঙ্গে গুড়গুড়ির পশ্চিম পাড়ার নুরুন্নবীর বিয়ে হয়। বিয়ের পর পূর্বের প্রেমিক আবদুর রহিম দুইজনের মধ্যে তোলা অন্তরঙ্গ ছবি ইন্টারনেট ছড়িয়ে দেয়া এবং স্বামীসহ শ্বশুর বাড়ির লোকজনের নিকট পাঠানোর কথা বলে হুমকি দিতে শুরু করে। সম্প্রতি তার স্বামী নুরুন্নবীর কাছে ছবি পাঠানোর কথা বলে হুমকি দেয়ায় গৃহবধূ মুন্নি নিজ শয়নকক্ষের পাখার সঙ্গে ওড়না বেঁধে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। পরে খবর পেয়ে সাতকানিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মুন্নির লাশ উদ্ধার করে। মুন্নি ও নুরুন্নবীর সংসারে ৮ বছরের একটি ছেলে ও ৪ বছরের এক কন্যা সন্তান রয়েছে।
গৃহবধূর বাবা মো. ইউনুস জানান, আমার মেয়ে মুন্নির সাথে মাদার্শা এলাকার আবদুর রহিম নামের একটি ছেলের পরিচয় ছিল। ওই রহিমও এখন সৌদি আরবে থাকে। মেয়ের বিয়ের পর থেকে রহিম তাকে নানাভাবে ভয় দেখিয়ে সুবিধা নেয়ার চেষ্টা করে আসছিল। ব্যক্তিগত ছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়া ও শ্বশুর বাড়ির লোকজনের কাছে পাঠানোর কথা বলে ইতিপূর্বে সে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার হাতিয়ে নিয়েছে। সম্প্রতি নতুন করে আবারো স্বামীর কাছে বিয়ের পূর্বের ব্যক্তিগত ছবি পাঠানোর কথা বলে হুমকি দিতে থাকে। মূলত স্বামীর কাছে বিয়ের পূর্বের ছবি পাঠানোর ভয়ে আমার মেয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
সাতকানিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আতাউল হক চৌধুরী জানান, পুলিশ গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চমেক হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে।