ঢাকার প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র জাহিদুল ইসলাম পারভেজ হত্যা মামলার তিন নম্বর আসামি মাহাথির (২০) হাসানকে চট্টগ্রাম নগরীর হালিশহর থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মাহাথির প্রাইমএশিয়ার ইংরেজি বিভাগের ছাত্র। তার বাড়ি গাজীপুরের কাপাসিয়ায়। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর নগরীর হালিশহরের এল ব্লকের আজাদ টাওয়ারে থাকা দূরসম্পর্কের এক আত্মীয়ের বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছেন হালিশহর থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামান।
তিনি আজাদীকে বলেন, আমাদের সহযোগিতায় ঢাকার বনানী থানার পুলিশ মাহাথিরকে গ্রেপ্তার করেছেন। পরে তাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও ঢাকার বনানী থানার এসআই ইয়াছির আরাফাত আজাদীকে বলেন, এ নিয়ে পারভেজ হত্যা মামলার ৬ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, এর আগে গত বুধবার গাইবান্ধা থেকে মামলার এক নম্বর আসামি মেহরাজ ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারও আগে গত সোমবার রাতে কুমিল্লার তিতাস এলাকার মামার বাড়ি থেকে পাঁচ নম্বর আসামি হৃদয় মিয়াজীকে এবং গত রোববার মধ্যরাতে মো. আল কামাল শেখ ওরফে কামাল (১৯), আলভী হোসেন জুনায়েদ (১৯) ও আল আমিন সানি (১৯) নামে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ঢাকার বনানীতে প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে গত শনিবার টেক্সটাইল বিভাগের শিক্ষার্থী পারভেজ ছুরিকাঘাতে খুন হন। পরদিন সকালে তার চাচাত ভাই হুমায়ুন কবীর আটজনকে আসামি করে বনানী থানায় একটি মামলা করেন। মামলার আসামিরা হলেন– মেহরাজ ইসলাম (২০), আবু জর গিফারী পিয়াস (২০), মাহাথির হাসান (২০), সোবহান নিয়াজ তুষার (২৪), হৃদয় মিয়াজী (২৩), রিফাত (২১), আলী (২১) ও ফাহিম (২২)। এদের ছাড়াও নাম না দিয়ে আরও ২৫–৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে। আসামিদের মধ্যে গ্রেপ্তার হৃদয় মিয়াজী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বনানী থানা ইউনিটের যুগ্ম সদস্য সচিব। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বনানী থানার যুগ্ম আহ্বায়ক সোবহান নিয়াজ তুষারও এ হত্যা মামলার আসামি।