রাজধানীর সিদ্বেশ্বরীতে প্রাইভেটকার থেকে এক নারীর হাতব্যাগ ছিনিয়ে নেওয়ার সঙ্গে তাকেও টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ওই ঘটনার ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ার পর ছিনতাইকারীদের ধরতে মাঠে নেমেছে পুলিশ। পুলিশ বলছে, ভুক্তভোগী নারীর পরিচয় মিললেও তিনি কোনো অভিযোগ করেননি; তারপরও তারা প্রাইভেটকারটি বের করার চেষ্টা চালাচ্ছে।
গতকাল শনিবার ভোরে সিদ্ধেশ্বরীর গ্রিনল্যান্ড টাওয়ারের সামনে (রমনা বিভাগের পুলিশের উপকমিশনার কার্যালয়ের কাছে) ওই ঘটনা বলে জানান ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা জোনের সহকারী কমিশনার মো. আবদুল্লাহ আল মামুন। তিনি বলেন, ঘটনার একদিন পর ভিডিওটি আজ আমাদের নজরে এসেছে। এরপরই আমরা ছিনতাইকারীদের ধরতে মাঠে নেমেছি। খবর বিডিনিউজের।
ওই নারীর বিষয়ে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেছেন, তিনি গাজীপুর চন্দ্রা এলাকার একটি কলেজের শিক্ষিকা। ঘটনাস্থলের কাছেই তার ফ্ল্যাট রয়েছে। তিনি একটি প্রশিক্ষণে অংশ নিতে যাওয়ার জন্য বাসা থেকে বের হওয়ার পরেই ছিনতাইয়ের শিকার হন। ফেসবুকে ছড়ানো ভিডিওতে দেখা গেছে, ওই নারী ফুটপাতে একটি লাগেজ নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তার হাতে ছিল ভ্যানিটি ব্যাগ। সে সময় ধীরগতিতে আসা সাদা একটি প্রাইভেটকার তার কাছাকাছি আসে এবং চালকের পাশে বসা আসনের দিক একজন হাত বের করে ওই নারীর হাত ব্যাগটি টান দেয়। সেসময় ওই নারী পড়ে গেলেও গাড়িটি তাকেও টেনে নিয়ে যায়। কিছুদূর যাওয়ার পর ওই নারীকে রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখা যায় এবং প্রাইভেটকারটি চলে যায়। পরে ওই নারী তার ট্রাভেল ব্যাগের কাছে ফিরে আসেন এবং ছুটে আসা লোকজনকে শরীরের আঘাত দেখান। প্রাইভেটকারে থাকা ব্যক্তিরা ছিনতাইকারী উল্লেখ করে সহকারী কমিশনার মো. আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ওই শিক্ষিকা কোনো অভিযোগ করেননি। তিনি এখন সুস্থ আছেন, যথারীতি প্রশিক্ষণেও অংশ নিয়েছেন। তবে ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পরপরই ঘটনাস্থল এবং নারীর পরিচয় বের করা হয়। আমরা প্রাইভেটকারটি শনাক্ত ও জড়িতদের বের করতে যা যা করা দরকার সবই করছি।