সন্দ্বীপের মঘধরা এলাকার ভুট্টু মিয়ার স্ত্রী আফরিনা (১৮)। গতকাল সকালে তার প্রসব বেদনা উঠলে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করান তার স্বামী। কিন্তু অবস্থা সংকটাপন্ন মনে করে চিকিৎসক তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। স্ত্রী ও নবজাতককে বাঁচাতে সন্দ্বীপ থেকে স্পিড বোটে করে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা দেন ভুট্টু মিয়া। সন্দ্বীপ থেকে সীতাকুণ্ডের কুমিরা ঘাটে এসে স্পিড বোট থেকে নামার পর প্রসূতির প্রসব বেদনা আরও তীব্র হয়। এ সময় তার আত্মীয়–স্বজনরা সীতাকুণ্ড স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরি বিভাগের মোবাইল নাম্বারে কল করেন। জরুরি বিভাগ থেকে রোগী নিয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসতে বলা হয়। একটি প্রাইভেটকার যোগে সীতাকুণ্ড স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পৌঁছাতে রোগীর অবস্থা সংকটাপন্ন হাসপাতাল গেইটে প্রাইভেটকারটি দাঁড় করিয়ে চিকিৎসকদের সহায়তায় স্বাভাবিক প্রসব করান। এতে পুত্র সন্তানের জন্ম দেন ওই নারী।
আনন্দে শিশুটির পিতা ভুট্টু মিয়া বলেন, সন্দ্বীপ থেকে স্পিড বোট করে কুমিরা ঘাট এলাকায় আসলে স্ত্রীর অবস্থা সংকটাপন্ন মনে হয়। তাই আমি এক আত্মীয়ের সহায়তায় সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে অবহিত করি। তাৎক্ষণিক বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে আমাদের হাসপাতালে আসতে বলেন। হাসপাতালের সামনে চিকিৎসকেরা আমার স্ত্রীর সফলভাবে ডেলিভারি সম্পন্ন করান। বর্তমানে আমার স্ত্রী ও সন্তান সুস্থ আছে।
সীতাকুণ্ড স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নুর উদ্দিন রাশেদ বলেন, প্রসূতি আফরিনার স্বামী ফোন করে সহায়তা চাইলে চিকিৎসকরা তাৎক্ষণিক তার আবেদনে সাড়া দিয়ে হাসপাতালে আসতে বলে। হাসপাতালের সামনে প্রাইভেটকার দাঁড়ানোর পর মেডিকেল অফিসার ডাক্তার শাহানা আক্তার এবং সিনিয়র স্টাফ নার্স নাসিমা, রুমা আক্তার, নার্সিং ইনচার্জ আফসার প্রাইভেটকারের ভেতরে প্রসূতির স্বাভাবিক ডেলিভারি করান।
নুর উদ্দিন আরও বলেন, স্বাভাবিক প্রসবে সফলতা ও সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পক্ষ থেকে প্রসূতি মা আফরিনা ও তার স্বামী ভুট্টু মিয়াকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়।