শ্রীলংকার মাটিতে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে যাওয়া বাংলাদেশ দল নিজেদের মধ্যে প্রস্তুতিটা বেশ ভালই সেরে নিয়েছে। মুলত এই ম্যাচটি ছিল সেখানকার আবহাওয়ার সাথে নিজেদের মানিয়ে নেওয়া। বাংলাদেশ দল ম্যাচটা নিজেদের মধ্যে ভাগ হয়ে খেললেও বেশ ভালই প্রস্তুতি সেরেছে। দুই দলের পাঁচ ব্যাটসম্যান তুলে নিয়েছেন হাফ সেঞ্চুরি। দুজন গিয়েছিলেন হাফ সেঞ্চুরির একেবারেই কাছে। ম্যাচে জয় পরাজয় মুখ্য না হলেও শেষ পর্যন্ত জয়টা হয়েছে তামিমের দলের। রানের হিসেবে তামিমের দল জিতেছে ৮৯ রান্ে তবে সবচাইতে বড় স্বস্তির কথা হচ্ছে দলের ক্রিকেটাররা নিজেদের বেশ ভালই প্রস্তুত করতে পেরেছে। এখন আসল লড়াইয়ে সেটা ধরে রাখা পালা। ম্যাচের প্রথম দিন শনিবার তামিম ইকবালের লাল দলের ব্যাটিং দারুন সন্তুষ্ট প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু। টপ অর্ডারে তামিম, সাইফ হাসান, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুশফিকুর রহীমের হাফ সেঞ্চুরি দেখে বেশ খুশি ছিলেন প্রধান নির্বাচক।
প্রথম চারজন ব্যাটসম্যানের সাথে দলের প্রতিষ্ঠিত ব্যাটসম্যানদের সবাই রান করায় প্রথম দিন শেষে তামিমের দলের রান গিয়ে দাড়িয়েছিল ৩১৪। পরে ব্যাট করতে নামা লিটন দাস, সাদমান ইসলাম, অধিনায়ক মোমিনুল, মোহাম্মদ মিঠুন, ইয়াসির আলী রাব্বিদের নিয়ে গড়া সবুজ দল অবশ্য লাল দলের মত রানের বন্যা বইয়ে দিতে পারেনি। তামিম বাহিনীর করা ৩১৪ রান টপকাতে গিয়ে মোমিনুল হকের সবুজ দল ইনিংস শেষ করেছে ৮৯ রান পিছনে থেকে। নিগোম্বোর কাটুনায়াকের চিলাও মারিয়ান্স ক্রিকেট ক্লাব মাঠে দুই দিনের প্রস্তুতি ম্যাচের গতকাল শেষ দিনে মোমিনুল হকের সবুজ দল করেছে ২২৫ রান। দলের টপ স্কোরার লিটন দাস। তার সংপ্রহ ৬৪। অধিনায়ক মোমিনুল হক প্রথমবার শূন্য রানে ফিরলেও পরে আবার ব্যাটিংয়ে নেমে করেছেন ৪৭। এছাড়া মোহাম্মদ মিঠুনের সংগ্রহ ছিল ২৮। আর পেসার শরিফুল অপরাজিত থাকেন ২০ রানে। লাল দলের বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল ছিলেন অফ স্পিনার মিরাজ। তিনি ৪ উইকেট নিয়েছেন ৪১ রানে। এছাড়া পেসার আবু জায়েদ রাহী আর বাঁ-হাতি স্পিনার তাইজুল একটি করে উইকেট দখল করেছেন।