একেবারে গোড়া থেকে নিজেকে প্রস্তুত করে জাতীয় দলে জায়গা করে নেওয়ার লড়াইটা চালিয়ে যাচ্ছেন চট্টগ্রামের ছেলে ইয়াসির আলি রাব্বি। বয়স ভিত্তিক দল পেরিয়ে একাডেমি দল, এইচ পি দল এবং সবশেষ বাংলাদেশ ‘এ’ দলের হয়ে খেলে জায়গা করে নিয়েছিলেন জাতীয় দলে। নিজেকে এখন আরো পরিণত করেছেন চট্টগ্রামের রাউজানের সন্তান রাব্বি। বারবার জাতীয় দলের প্রাথমিক দলে থাকলেও শেষ পর্যন্ত মূল দলে জায়গা পাওয়াটা হয়ে উঠে না। এবার নিজেকে আরো পরিণত করে সেই জাতীয় দলে জায়গা পাকা করার মিশনে নামছেন রাব্বি। আগামী ৩ ফেব্রুয়ারী থেকে শুরু হচ্ছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্ট। তার আগে আগামী ২৯ জানুয়ারী থেকে ওয়েষ্ট ইন্ডিজ দল একটি তিনদিনের প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে। প্রতিপক্ষ বিসিবি একাদশ। আর সে একাদশে জায়গা পেয়েছেন রাব্বি। এই প্রস্তুতি ম্যাচে নিজেকে প্রমাণ করে ফিরতে চান টেস্ট স্কোয়াডে।
নিজেকে বদলে ফেলা রাব্বি মানসিকতায় এখন দারুণ পরিপক্ক। ব্যাট হাতে দুই এক ম্যাচ খারাপ গেলেও মন খারাপ হয় না মোটেই। বরং ভুল থেকে শিখতে চেষ্টা করেন। তাই রাব্বি এক বদলে যাওয়া এক ক্রিকেটারের নাম। ওয়েস্ট ইন্িডজের বিপক্ষে টেস্ট দলে জায়গা হবে কিনা তা এখনো নিশ্চিত নন রাব্বি। তারপরও খুশি চট্টগ্রামের এই ব্যাটসম্যান। দেশের সেরা ক্রিকেটার সাকিব, তামিম, মুশফিক, মাহমুদউল্লাহদের সঙ্গে ড্রেসিংরুম শেয়ার করতে পারাটাও কম গৌরবের নয় রাব্বির কাছে। করোনার কারণে এখন আর সরাসরি সংবাদ মাধ্যমের সাথে কথা বলতে পারেন না ক্রিকেটাররা। বিসিবি ভিডিও পাঠিয়ে দেয়। তেমনই এক ভিডিওতে রাব্বি জানান এই ক্যাম্পটা যখন শুরু হয় তখন থেকেই অনেক রোমাঞ্চিত ছিলাম। কারণ আমি আগে কখনও সাকিব ভাই, মুশফিক ভাই, তামিম ভাই, রিয়াদ ভাইদের সবাইকে এক সঙ্গে পাইনি। সেই ওয়ানডে সিরিজের ক্যাম্প থেকেই আমি আনন্দিত কারন তাদের সঙ্গে ড্রেসিংরুম ভাগাভাগি করে নিতে পারছি। এখন টেস্টের ক্যাম্পে এসেও দেখছি উনাদের তিনজনকে আবার পাচ্ছি। কারন তামিম ভাই, সাকিব ভাইদের ছোট থেকে দেখেই বড় হয়েছি ক্রিকেটে।
‘রাব্বি জানান গত এক বছরে তার মানসিক দৃঢ়তায় বেশ উন্নতি হয়েছে। আগে দেখা যেতো দু-একটা ইনিংস খারাপ খেললে ভেঙে পড়তাম। কিন্তু এখন সেটা আর হয় না। কারন আমি আসলে বুঝতে পারছি যদি কষ্ট করি তাহলে অবশ্যই ভাল সময় ফেরানো সম্ভব। আর মানসিক শক্তি উন্নতি হওয়া মানে অনেক বড় ব্যাপার। ক্রিকেটে সেটা খুব জরুরি। গত দুই বছর ধরে জাতীয় দলের নির্বাচকরা রাব্বিকে নজরে রেখেছেন। ফলে জাতীয় দলের কোচিং স্টাফদের সাথে কাজ করার সুযোগ পেয়েছেন রাব্বি। বাংলাদেশ দলের সাবেক ব্যাটিং কোচ নেইল ম্যাকেঞ্জির সান্নিধ্যে এসে তার টেকনিকের উন্নতিও হয়েছে বলে মনে করেন রাব্বি। এখন সান্নিধ্য পাচ্ছেন ইংলিশ ব্যাটিং কোচ জন লুইসের। তার সাথে কাজ করতে মুখিয়ে আছেন রাব্বি।
ম্যাকেঞ্জির সময় ব্যাটিংটা টেকনিক্যালি কিছু বিষয় উন্নতি করতে পেরেছি। এখন নতুন কোচের সাথে কাজ করে আরো উন্নতি করতে চাই। এখন অপেক্ষায় আছি তার সাথে কাজ করার।
এখন কেবল পরিচয় পর্বটা হয়েছে তবে হাতে-কলমে শেখাটা শুরু হবে শীঘ্রই। রাব্বি জানান সামনে যে প্রস্তুতি ম্যাচটা রয়েছে সেখানে অবশ্যই ভাল করতে হবে। আর সেখানে ভাল করেই টেস্ট দলে জায়গা করে নিতে চান চট্টগ্রামের এই তরুন। আর সে জন্য প্রস্তুতি ম্যাচটা বেশ গুরুত্বপূর্ন।