প্রস্তুতিসভায় যুবলীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ

আজাদী প্রতিবেদন | বৃহস্পতিবার , ৩ নভেম্বর, ২০২২ at ৫:২৫ পূর্বাহ্ণ

যুবলীগের আগামী ১১ নভেম্বর ঢাকায় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে যুব মহাসমাবেশকে সফল করার লক্ষ্যে চট্টগ্রামে আয়োজিত প্রস্তুতি সভায় মহানগর যুবলীগের দুই সাধারণ সম্পাদক প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতি ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বুধবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের নিচে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় সেখানে রক্ষিত একটি চিঠির বক্স ভাঙচুর করা হয়, ভেঙে ফেলা হয় দেয়ালের কাঠের বিট। প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আগামী ১১ নভেম্বর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যুব মহাসমাবেশের আয়োজন করেছে যুবলীগ। এই মহাসমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় যুবলীগ গতকাল বুধবার সকালে প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ যুবলীগসহ তিন জেলার সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক প্রার্থীকে নিয়ে প্রস্তুতি সভার আয়োজন করে। সভাকে ঘিরে সকাল থেকে পদ প্রত্যাশী নেতারা তাদের বিশাল সমর্থক নিয়ে প্রেস ক্লাবের নিচে জড়ো হন। সম্ভাব্য পদ প্রত্যাশীদের সমর্থকরা নেতার পক্ষে স্লোগান দিয়ে পুরো এলাকা মুখরিত করে তোলে। প্রেস ক্লাবের সামনে কেউ নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীনের পক্ষে, আবার কেউ শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের পক্ষে স্লোগান দিতে থাকেন। একই সাথে সম্ভাব্য সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদ প্রত্যাশীদের নামে শ্লোগান-পাল্টা শ্লোগান দেয় তারা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুর সাড়ে ১১টার দিকে প্রেস ক্লাবে আসেন কেন্দ্রীয় যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ ফজলে নাঈম। কেন্দ্রীয় নেতারা অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছালে স্থানীয় নেতা-কর্মীরা স্লোাগান পাল্টা স্লোগানে উত্তেজনা ছড়ান। এ সময় নগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনি ও বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এ এইচ এম ফজলে রাব্বি সুজনের অনুসারীদের মধ্যে এই হাতাহাতি হয়। দুজনই যুবলীগের আগামী কমিটির মহানগরীর সাধারণ সম্পাদক প্রত্যাশী। পরে কেন্দ্রীয় নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। একপর্যায়ে লিফটের কাছে থাকা অ্যালুমিনিয়ামের বার ও লাঠি দিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় প্রেস ক্লাবের নিচে রাখা একটি চিঠির বঙ ভাঙচুর করা হয়, ভেঙে ফেলা হয় দেয়ালের কাঠের বিট। তবে তাদের অনুসারীরা হাতাহাতির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
এসময় নেতাকর্মীরা শেখ ফজলে নাঈমকে লিফটে তুলে দেন। একই সময়ে পলিটেকনিক কলেজের সাবেক ভিপি মহিউদ্দিনের অনুসারীদের মধ্যেও ক্লাবের নিচে ধাক্কাধাক্কি হয়। তারা ক্লাবের সামনে চলাচলের পথ বন্ধ করে শ্লোগান দিতে থাকেন। এসময় তাদের কারণে অগ্রণী ব্যাংক এবং বই বিপনী কেন্দ্র বাতিঘর বন্ধ করে দিতে হয়। এতে ব্যাংক এবং বাতিঘরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন অনেকেই।
জানা যায়, প্রেস ক্লাবের আটতলায় অনুষ্ঠানে যাওয়ার লক্ষ্যে শেখ ফজলে নাঈম লিফটে উঠার পর পেছনের যুবলীগের নেতাদের লিফটে উঠা ও স্লোগান দেওয়াকে কেন্দ্র করে প্রথমে ধাক্কাধাক্কি, পরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
প্রস্তুতি সভাকে ঘিরে প্রেসক্লাবের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান অতিথি কেন্দ্রীয় যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নাঈম বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। তদন্ত সাপেক্ষে সেটার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধখালেদা জিয়া ভোটে দাঁড়াতে পারবেন?
পরবর্তী নিবন্ধএক ধাক্কাতেই গচ্চা ১২ কোটি টাকা