ফটিকছড়ি উত্তর উপজেলা প্রসঙ্গে আমার ব্যক্তিগত মতামত, ফটিকছড়িবাসীর জন্য সু–খবর যে, বৃহত্তর ফটিকছড়ি উপজেলাকে বিকেন্দ্রীকরণ এর মাধ্যমে (সুয়াবিল, হারুয়ালছড়ি, ভূজপুর, নারায়ণহাট, দাঁতমারা ও বাগানবাজার ইউনিয়ন) আরেকটি উপজেলা হতে যাচ্ছে, এতে রাস্তাঘাট উন্নয়ন, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, চিকিৎসাসেবা, নাগরিক সুবিধাসহ সকল ধরনের উন্নয়ন হবে যেহেতু একটি উপজেলা দু‘টিতে পরিণত হয়ে যাবে তখন– এখন যা আসছে তার থেকে সব কিছু দিগুণ বরাদ্দ আসবে। তবে এ উপজেলা গঠন হওয়ার সুযোগ পেয়েও তা হারাতে আমরা মরিয়া হয়ে উঠেছি। তার একমাত্র কারণ এই নতুন উপজেলাটির সদরদপ্তর বা উপজেলা পরিষদ ভবন কোথায় হবে তা নিয়ে দ্বন্দ্ব। তবে তা এখন শুধু দ্বন্দ্েবর মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই রীতিমতো ইউনিয়ন ভিত্তিক হিংসা, রেষারেষি এমনকি হুমকি–ধমকিতেও রূপ নিয়েছে। মানববন্ধন, সংবাদ সম্মেলন এগুলোর পাল্টা জবাব নিয়ে এখন টক অব দ্যা ফটিকছড়িতে রূপ নিয়েছে বিষয়টি। এতে করে ক্ষতিটা হচ্ছে কার? আবেগ বা চিল্লাচিল্লি করে কিছু হয়না আইন আইনের গতিতে চলবে যদি তা না হয় প্রয়োজনে এটা হয়তো সরকার বাতিল ও করে দিতে পারে। আমাদের ভাবা উচিৎ – সাধারণ মানুষ উপজেলা পরিষদে বছরে কয়বার যেতে হয়? সেখানে কি জন্মসনদ নিতে হয় নাকি অন্যকিছু? গুরুত্বপূর্ণ কোন কাজ ছাড়া হয়তো উপজেলা পরিষদে যেতেই হয়না কারণ সকল সুযোগ সুবিধা নিতে হয় আমাদের স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ থেকেই। হ্যাঁ, উপজেলা পরিষদ ভবন যেখানে হবে সেখানে এলাকাটি হয়তো অন্যান্য এলাকার চেয়ে উন্নত হবে। তাই বলে কি ৬ ইউনিয়নে ৬টি উপজেলা পরিষদ ভবন করা যাবে? উপজেলা সুয়াবিল হোক বা বাগানবাজার হোক পুরো উপজেলার জন্য যে উন্নয়নের বরাদ্দ আসবে তা দিয়ে তো প্রতি ইউনিয়নেই সমান ভাবে কাজ করা যাবে। এটা একটা অফিস মাত্র। এ বিষয়টিকে পুঁজি করে কিছু স্বার্থান্বেষী মহল এখন সাধারণ মানুষের মাথায় লবণ রেখে বড়ই খেতে চায়। আপনারা সে সুযোগ আর দিয়েন না। যেভাবেই হোক যেখানেই হোক উপজেলাটা গঠিত হতে দেন, এতবড় সুযোগ হাতছাড়া হয়ে গেলে পস্তানো ছাড়া পথ থাকবেনা। ভুল ত্রুটি মার্জনীয়।
লেখক: ফটিকছড়ি প্রতিনিধি–দৈনিক আজাদী











