প্রসঙ্গ কোটা সংস্কার

হাবিবুল হক বিপ্লব | সোমবার , ১৫ জুলাই, ২০২৪ at ৮:২২ পূর্বাহ্ণ

৫৬ শতাংশ কোটা কে ৩০ শতাংশে নামিয়ে আনা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে যেটা করা যেতে পারে,জেলা কোটা পুরোপুরি উঠিয়ে দেয়া, কারণ উত্তরবঙ্গ দক্ষিণপূর্ব অঞ্চল এখন আর দরিদ্র পীড়িত অঞ্চল নয়, যমুনা সেতু ও পদ্মা সেতুর কানেক্টিভিটি তে অনেক উপকৃত হয়েছে তারা। দেশ স্বাধীন হয়েছে ৫৩ বছর, যদিও ৭৫ থেকে টানা ২১ বছর, এরপর ও ধাপে ধাপে ১০ বছর মোট ৩১ বছর জাতির সেরা সন্তান মুক্তিযোদ্ধারা বঞ্চনার শিকার হয়েছে। কিন্তু এটাও মাথায় রাখা জরুরি ৭১ এ যার বয়স ১০ বছর ছিল, তিনি মুক্তিযুদ্ধ করতে পারেননি বয়সের কারণে অথবা অনেকে সরাসরি যুদ্ধ করেছে, কিন্তু সনদ নেননি, তাদের সন্তানও আজ চাকরি প্রার্থী, তাই যৌক্তিক কারণেই সব দিক বিবেচনায় মুক্তিযোদ্ধা কোটা ১৫ শতাংশে নামিয়ে আনা, এবং উল্লেখ থাকা এই ১৫ শতাংশে শহীদ পরিবার, বীরাঙ্গনা পরিবার অগ্রাধিকার পাবে। ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠির ৫ শতাংশ কে ৮ শতাংশ করে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের কোটায় অন্তর্ভুক্ত করা জরুরি। কারণ মানি বা না মানি ৮ম সংশোধনীর পর বাংলাদেশ আর ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র নয়। প্রতিবন্ধীদের কোটা ২ শতাংশ করা সময়ের দাবী, কারণ আগের চেয়ে সুবিধা বেশি পাওয়ায় তারা এখন শিক্ষিত হচ্ছে। নারী কোটা ১০ শতাংশ থেকে নামিয়ে ৫ শতাংশ করা উচিত। কারণ নারীরা এখন শিক্ষায় ও গুনে মেইনস্ট্রিম এর সাথে শুধু চলমান নয় অনেকক্ষেত্রে এগিয়েও। এটা আমার ব্যাক্তিগত মতামত মাত্র। এতো বড় সিদ্ধান্ত নিতে চুলচেরা বিশ্লেষণ প্রয়োজন। আমি মোটা দাগে বললাম।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসন্তানদের প্রতি যত্নশীল হোন
পরবর্তী নিবন্ধনতুন কারিকুলাম নিয়ে একান্ত ভাবনা