প্রশ্নবিদ্ধ কর্মকর্তাদের ভোটে চায় না বিএনপি, ইসিকে মঈন খান

| শুক্রবার , ২৪ অক্টোবর, ২০২৫ at ৫:৩৪ পূর্বাহ্ণ

প্রশ্নবিদ্ধ ও বিতর্কিত কর্মকর্তাদের আগামী নির্বাচনে ভোটগ্রহণের দায়িত্বে চায় না বিএনপি, নির্বাচন কমিশনকে তারা এ বিষয়ে সতর্ক থাকার কথা বলেছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠকে করে এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে বলার বিষয়টি সাংবাদিকদের বলেছেন তিনি। আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সিইসির সঙ্গে বিএনপির প্রতিনিধি দলের প্রায় দুই ঘণ্টার এই বৈঠক শেষে মঈন খান বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রায় ১০ লাখ লোকবল দরকার পড়ে। বিতর্কিত যারা, প্রশ্নবিদ্ধ যারা রয়েছেন; তাদের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে অত্যন্ত সতর্ক থাকতে হবে এটা ছিল আমাদের আলোচনার একটি মূল বিষয়। খবর বিডিনিউজের।

ভোটের পরিবেশ, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, নির্বাচন কমিশনইসির প্রতি আস্থা ও গণভোট নিয়েও বৈঠকে আলোচনা করেছেন বিএনিপির প্রতিনিধিরা। দলের প্রতিনিধিদের মধ্যে ছিলেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ইসমাইল জবিউল্লাহ ও ইসির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব মোহাম্মদ জকরিয়া। এ তিনজন বিএনপি নির্বাচন কমিশন বিষয়ক কমিটির সদস্য।

বৈঠক শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মঈন খান বলেন, বিগত তিনটি নির্বাচনে প্রহসন হয়েছে। ১৫ বছরের কর্মকর্তারা ১৫ মাসে সংশোধিত হবেন না। বাস্তবতা বিবেচনা করে এগোতে হবে। এদেশে একটি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন যাতে হয় এবং সেই গুরু দায়িত্ব আজকের নির্বাচন কমিশনের উপরে রয়েছে বলেই আজকে আমরা এই আলোচনায় এসেছি। একটি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে হলে যে বিষয়টি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, যে দায়িত্বটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, সেটা হচ্ছে নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব। শুধু এই পাঁচজন করতে পারবেন না এবং এর জন্য যে বিশাল একটি জনবল যেটা লাগবে, কমপক্ষে ১০ লাখ লোকের প্রয়োজন হবে নির্বাচনের।

বিগত তিনটি নির্বাচনে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের কথাও তুলে ধরেন তিনি। তাহলে যদি এই বিশাল একটি জনগোষ্ঠীর প্রয়োজন হয়, তারা কারা? এই প্রশ্নটি আমাদের বিবেচনায় এসেছে এবং এটা বিবেচনায় করছি। গত ১৭ বছর দেশের প্রশাসনিক বিভাগকে রাজনৈতিকভাবে মোটিভেটেড করে গত তিনটি নির্বাচনের নামে প্রহসন হয়েছে। যারা নির্বাচনের দিন, যারা সরকারি কর্মকর্তা হয়েও যারা নির্বাচন কমিশনের পক্ষে নির্বাচন পরিচালনা করেছিল তাদের কারণে হয়েছিল। এবং এই কথাটি আমরা গুরুত্ব দিয়ে বলেছি।

মঈন খান বলেন, গত ১৫ মাসে সবকিছু সংশোধিত হয়ে যাবে, এতটা আশা করা আসলে বাস্তবতা নয়। কাজেই নির্বাচন কমিশনকে সতর্ক থাকতে হবে এবং এটাও বাস্তবতা। ইসি ইতোমধ্যে সচেতন আছেন তারপরেও আমাদের এই কথাগুলো বলা প্রয়োজন। সেই মূল কথাটি আমরা বলেছি এবং বিশেষ করে বিতর্কিত যারা প্রশ্নবিদ্ধ যারা রয়েছেন তাদের যেন আগামী নির্বাচন প্রক্রিয়ায় কোনোভাবে অংশগ্রহণ করতে না পারে, কোনো প্রভাব ফেলতে না পারে, সে সম্বন্ধে নির্বাচন কমিশনকে অত্যন্ত সতর্ক থাকতে হবে, এটা ছিল আমাদের আলোচনার একটি মূল বিষয়। সংসদ নির্বাচন ও গণভোট একসঙ্গে করার বিষয়ে বিএনপির অবস্থানের কথাও তুলে ধরেন দলের এ নেতা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধস্বাভাবিক মৃত্যু ভেবে দাফন, পরে খুনের সন্দেহে মামলা
পরবর্তী নিবন্ধপলাতক আসামি প্রার্থী হতে পারবে না