বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অসুস্থতার কারণে ফেব্রুয়ারির সংসদ নির্বাচন পেছানোর কোনো যৌক্তিকতা দেখছেন না দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। খালেদার অসুস্থতা ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের অনুপস্থিতিতে ভোট নিয়ে শঙ্কা প্রসঙ্গে এক প্রশ্নে গতকাল শুক্রবার তিনি বলেন, এসব প্রশ্ন আসে কী করে, আমি বুঝি না। নির্বাচন তো নির্বাচনের জায়গায়। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থতার সঙ্গে নির্বাচনের কোনো সম্পর্ক নাই। সবচেয়ে বেশি নির্বাচন যিনি চাইবেন বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রবর্তনের জন্য, তিনি হচ্ছেন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া।
ঢাকার খামারবাড়িতে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি বলেন, উনি যে অবস্থায় থাকুক, উনি চাইবেন বাংলাদেশের মানুষ ভোটের মাধ্যমে তাদের নির্বাচিত সংসদ ও সরকার গঠন করুক, বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক শৃঙ্খলা ফিরে আসুক, বাংলাদেশের মানুষ আবার তাদের তাদের মালিকানা ফিরে পাক। যদি সবচেয়ে বেশি কেউ চেয়ে থাকে (নির্বাচন) সেটা হচ্ছে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। নির্বাচন পিছিয়ে যাওয়ার প্রশ্নটা আসছে কোথা থেকে? খবর বিডিনিউজের।
ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে তিনটি আসনে প্রার্থী হওয়ার কথা বিএনপি নেত্রীর। তারেক রহমানও প্রথমবারের মতো ভোটে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন, তার ফেরার আশায় দিন গুণছিলেন নেতাকর্মীরা। কিন্তু তার মায়ের অসুস্থতায় বদলে যাওয়া পরিস্থিতিতে লন্ডন থেকে তারেকের দেশে ফেরা এখন অনিশ্চিত হয়ে গেল। এর মধ্যে হাসপাতালে সংকটাপন্ন অবস্থায় থাকা তার মা খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে। তারেক রহমান এখনো ভোটার হননি। প্রবাসে থেকে ভোটার ও প্রার্থী হতে তাকে এখন নির্বাচন কমিশনের বিশেষ সহযোগিতার ওপর নির্ভর করতে হবে।
নির্বাচন কমিশনের একজন কর্মকর্তা জানান, বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী প্রার্থী হতে হলে তারেক রহমানকে মনোনয়নপত্র জমার আগেই ভোটার হতে হবে। ইসি চাইলে তিনি লন্ডনে থেকেও ভোটার হওয়ার সুযোগ পাবেন। বিদেশে থেকে বিধি মেনে অনুমোদিত প্রতিনিধির মাধ্যমে মনোনয়নপত্রও জমা দিতে পারবেন তারেক। তার প্রস্তাবক ও সমর্থককে বাছাইয়ের সময় রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে থাকতে হবে। সেক্ষেত্রে বিদেশে থেকে ভোট করতে তার আইনি কোনো বাধা নেই। খালেদার ক্ষেত্রেও একই কথা খাটবে।












