ফটিকছড়িতে অবৈধ বালি উত্তোলন এবং মাটি কাটার সাথে জড়িত দুষ্কৃতকারীরা রীতিমতো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। উপজেলায় গত বৃহস্পতিবার ও এর আগেরদিন সংঘটিত অবৈধ বালু মাটির ব্যবসার বিরুদ্ধে উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক দুটি নিয়মিত মামলা দায়ের হয়েছে।
তন্মধ্যে মামনি এগ্রোর বিরুদ্ধে পাহাড় টিলা কাটার জন্য অপরটি ফকিচারানে হালদা নদীর পাড় কেটে এবং নদীর তলদেশ থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের জন্য।
তবে মামলার পরেরদিন (শুক্রবার) সকালে পাইন্দং ফকিরাচান এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় বঙ্গবন্ধু মৎস্য হেরিটেজ ঘোষিত হালদা নদীর পাড় কেটে ট্রলিতে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে অন্যদিকে একইসাথে নদীর তলদেশ থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে।
তাদের কাছে এসব কারা করছে জিজ্ঞাসা করলে তারা জানেনা বলে উত্তর দেয়।
এছাড়াও ফকিরাচান এলাকার হালদা অংশের চারপাশ যেন একেকটি পুকুর, বুঝার উপায় নেই এটিই হালদা নদী। কিছু জায়গায় করা হয়েছে পানি আটকানোর জন্য কৃত্রিম বাঁধও। নৌকা দিয়ে ১০-১২ জন লোক হালদার তলদেশ থেকে অবাধে বালি পাচার করছে। আর হালদার চারপাশের পাড় কেটে এ নদীকে ধ্বংস করে দিচ্ছে দৃষ্কুতকারীরা।
এ এলাকায় একাধিক অভিযান চালানোর পরেও এসব দৃষ্কুতকারীদের দমানো যাচ্ছেনা। প্রশাসনের অভিযান টের পেয়ে পালিয়ে যায় রাঘব বোয়ালরা।
এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারী কমিশনার এটিএম কামরুল ইসলামকে সরেজমিন থেকে ফোন দিয়ে জানালে তিনি বলেন, উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপের অংশ হিসেবে দুটি নিয়মিত মামলা দায়ের হয়েছে। তন্মধ্যে মামনি এগ্রোর বিরুদ্ধে পাহাড় টিলা কাটার জন্য অপরটি ফকিরাচানে হালদা নদীর পাড় কেটে এবং নদীর তলদেশ থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের জন্য।
তবে মামলার পরেরদিন আবারও একই ঘটনার কথা শুনে তিনি বলেন, আমরা মামলা করেছি, আপনারাও মামলা করুন। আমরা একের পর এক অভিযান চালাচ্ছি, গভীর রাতেও অভিযান চলমান। এ ব্যাপারে তিনি সাংবাদিকদের সর্বাত্নক সহযোগিতা কামনা করেন।