প্রশাসনিক দায়িত্ব ছাড়লেন সেই শিক্ষিকা

কোনো ছাত্রের চুলেই হাত দিইনি : ফারহানা

| বৃহস্পতিবার , ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ at ৫:২৫ পূর্বাহ্ণ

সিরাজগঞ্জের রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৬ শিক্ষার্থীর চুল কেটে দেওয়ার ঘটনায় আন্দোলনের মধ্যে প্রশাসনিক দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেছেন সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ অধ্যয়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ফারহানা ইয়াসমিন বাতেন। তবে প্রশাসনিক দায়িত্ব ছাড়লেও ছাত্রদের চুল কেটে দেওয়ার অভিযোগটি বানোয়াট বলে দাবি করেছেন তিনি। খবর বিডিনিউজের। সিরাজগঞ্জের এই সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী আন্দোলনে নেমেছেন সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান ফারহানার বিরুদ্ধে। তাদের অভিযোগ, ফারহানা বাতেন সম্প্রতি ক্লাস চলাকালে চুল বড় রাখায় ছাত্রদের বকাঝকা করেন। গত রোববার পরীক্ষার হলের দরজার সামনে তিনি কাঁচি হাতে দাঁড়িয়ে ছিলেন। কক্ষে ঢোকার সময় শিক্ষার্থীদের মধ্যে যাদের চুল মুঠোর মধ্যে ধরা গেছে, তাদের মাথার সামনের খানিকটা তিনি কেটে দেন। এই বিষয়ে প্রশাসন মঙ্গলবার তদন্ত কমিটি গঠন করলেও সহযোগী অধ্যাপক ফারহানাকে স্থায়ীভাবে বরখাস্তের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে শিক্ষার্থীরা।
ছাত্রদের চুল কেটেছিলেন কি না- এ প্রশ্নে ফারহানা বলেন, এরকম কোনো ঘটনা ঘটেনি। আমার কাছে পুরো ব্যাপারটি শুনে অবাক লেগেছে। আমি পত্রিকায় দেখেছি খবরটা। ১৬ জন মানুষের চুল কেটে দেব, কেউ দেখবে না? তারা কোনো ছবি তুলবে না? আমি কাটতে চাইলাম আর ১৬ জন আমাকে চুল কাটতে দিল, কেউ কোনো প্রতিবাদ করবে না? একজন ছাত্রেরও চুল কি কেটেছিলেন- প্রশ্নে তিনি বলেন, একজনেরও চুল কাটিনি। কারও চুলে হাতও দিইনি। এরকম ঘটনা ঘটছে কি না, এই সম্পর্কে আমার কোনো ধারণাই নাই। সোমবার সকালেও তারা পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপদ হারালেন পটিয়া বিএনপি নেতা কবিয়াল আবু ইউছুফ
পরবর্তী নিবন্ধবাগান বাড়ি থেকে যুবক অপহরণের মূল হোতা কারাগারে