প্রশস্ত জায়গায় চট্টগ্রামে নতুন কারাগার নির্মাণ করতে হবে : মেয়র

কয়েদিদের মাঝে কাপড়, ওষুধসহ বিভিন্ন উপহার সামগ্রী বিতরণ

আজাদী প্রতিবেদন | বৃহস্পতিবার , ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ at ৭:৫৪ পূর্বাহ্ণ

গায়েবি মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের কারণে কারাগারের চাপ বেড়ে গিয়ে বন্দীদের পর্যাপ্ত জায়গার সংকট সৃষ্টি হয় বলে মন্তব্য করেছেন সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। তিনি বলেন, কারাগারে কয়েদিদের অতিরিক্ত চাপ। আমি দেখেছি প্রতিটি রুমে কয়েদিদের থাকার জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ জায়গা থাকে না। ৩০৪০ জনের জায়গায় ১০০ জন রাখা হয়। এটা বড়ই অমানবিক। এসময় চট্টগ্রামে নতুন কারাগার নির্মাণে উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি। গতকাল বুধবার জেল রোড চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে ব্যক্তিগত উদ্যোগে কয়েদিদের মাঝে বস্ত্র ও ওষুধসহ বিভিন্ন উপহার সামগ্রী বিতরণকালে এসব কথা বলেন মেয়র।

উপহার সামগ্রী বিতরণ উপলক্ষে কারাগারে কনফারেন্স রুমে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেল সুপার মো. ইকবাল হোসেন। উপস্থিত ছিলেন জেলার মাসুদ হাসান জুয়েল, জিয়াউর রহমান জিয়া, আলাউদ্দিন আলী, আবুল বশর। সঞ্চালনা করেন ডেপুটি জেলার ইব্রাহীম। ডা. শাহাদাত বলেন, কয়েদিদের নির্দিষ্ট পরিমাণ থাকার জায়গা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। কারাগারে কয়েদিদের তুলনায় বাথরুমের সংখ্যা অত্যন্ত কম। এতে করে বন্দীদের নানা ধরনের দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এটি অত্যন্ত অমানবিক অবস্থা। বন্দীদের ন্যূনতম মৌলিক অধিকার ও স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা জরুরি। তিনি বলেন, কাশিমপুর কারাগারে আমি দেখেছি ফুটবল খেলার মাঠ আছে, কলা গাছ, কাঁঠাল গাছ আছে; এগুলোর ফল কয়েদিরা খায়। চট্টগ্রামে কারাগার সুপ্রশস্ত নয়, তাই আনোয়ারা, সীতাকুণ্ড বা মীরসরাইয়ের মতো এলাকায় কয়েদিদের জন্য খেলার মাঠ, বাগান ও পর্যাপ্ত মুক্ত জায়গা থাকবে এমন নতুন কারাগার গড়ে তোলার বিষয়ে উদ্যোগ নিতে হবে।

ডা. শাহাদাত বলেন, মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখতে হবে সবকিছু। কায়েদিদের জন্য একজন ডাক্তারের পাশাপাশি একজন সাইকোলজিস্ট নিয়োগ দেওয়া প্রয়োজন। কারণ এখানে আত্মহত্যার অনেক ঘটনা হয়েছে। যখন একজন কয়েদি এখানে ঢুকে সে যখন হয়তোবা দোষী না এতে করে হতাশাগ্রস্ত হয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। কাজেই আমার মনে হয় একজন সাইকোলজিস্ট থাকলে কয়েদিদের মানসিক সাপোর্ট দেওয়া সম্ভব হবে। কারাগারে মানসম্মত ওষুধের অভাব রয়েছে। আমি দেখেছি অনেক সময় এই নিম্নমানের ওষুধ ব্যবহারের কারণে রোগীরা সুস্থ হচ্ছে না বরং এলার্জির মত চর্ম রোগে আক্রান্ত হয়ে যায়। সেজন্য মানসম্মত ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানির ওষুধ সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে।

তিনি বলেন, আমাদের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত, প্রতিটি বন্দীকে একটি পূর্ণাঙ্গ স্বাস্থ্যসেবা এবং মানবিক সেবা প্রদান করা, যাতে তারা সমাজে পুনরায় ফিরে এসে একটি সুন্দর জীবন শুরু করতে পারে। কারাগারগুলোতে শারীরিক সুস্থতা এবং মানসিক স্বাস্থ্যের দিকে নজর দেওয়া খুব জরুরি। এ জন্য প্রয়োজন উপযুক্ত পরিবেশ; যেমন খেলাধুলার জায়গা, স্বাস্থ্যকর খাবার এবং সুযোগ সুবিধা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমিয়ানমার থেকে এলো ২৩ হাজার টন আতপ চাল
পরবর্তী নিবন্ধএকযোগে ৩৩ যুগ্ম সচিব ওএসডি, ২০১৮ সালের ভোটে ডিসি ছিলেন তারা