প্রশংসা কাজের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করে

মিতা পোদ্দার | রবিবার , ২৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ at ৫:৫৯ পূর্বাহ্ণ

আমাদের সব সময় সবার মনে রাখা দরকার কেউ যদি ভালো কাজ করে তবে তাকে উৎসাহিত করা। ভালোকে উৎসাহিত করলে অন্যরাও উৎসাহ পাবে। তারাও ভালো হতে চাইবে। আমাদের উচিত মানুষকে সবসময় ভালো হতে উৎসাহিত করা। প্রেরণা ও উৎসাহ কর্মস্পৃহার উৎসমূল। এর মাধ্যমে কর্মীকে তার পূর্ণশক্তিকে বিকশিত করা সম্ভব। অনুপ্রেরণা ছাড়া একজন কর্মচারীর অন্তর্নিহিত সক্ষমতা পূর্ণতা পায় না। অনুপ্রেরণা ও উদ্দীপনার দ্বিতীয় উৎস হচ্ছে, প্রতিশ্রুতিশীল এবং সৃজনশীল কর্মচারীদের পুরস্কৃত করা। কর্মচারীদের প্রশংসার অর্থ শুধু নিজের কৃতিত্ব নয়, তাদেরও সফলতার কৃতিত্ব রয়েছে। অনুপ্রেরণা পেলে মানুষ নিজের সক্ষমতা সম্পর্কে সচেতন হয়, নিজের লক্ষ্য নির্ধারণ করে এবং অন্যের ওপর নির্ভরশীল না হয়ে কাজ করার প্রেরণা পায়, যা আত্মনির্ভরশীলতার মূল ভিত্তি।

একটু লক্ষ্য করলে বুঝতে পারবেন প্রতিদিনের সমস্যাসংকুল পথচলায় ভালো কাজের প্রশংসা দারুণ কাজ দেয়। একটুখানি প্রশংসা বা উৎসাহ সত্যিকার অর্থেই লক্ষ্য পূরণে দারুণ সহায়তা করতে পারে। সুতরাং, বলতেই হয়ভালো কাজের স্বীকৃতি হিসেবে ‘ধন্যবাদ’টা শুধু মুখে বলবেন না কখনোই। ১০ সেকেন্ড বেশি খরচ করে চোখ, হাসি, অঙ্গভঙ্গিতে তাকে বোঝানতিনি ভালো, মহৎ কাজ করেছেন। মনে রাখতে হবে, ভালো কাজের প্রশংসাও কিন্তু ভালোমতো ও মন দিয়ে করতে হয়। তাছাড়া প্রশংসা কিন্তু সম্পর্ক মজবুতও করে। এক্ষেত্রে পরামর্শবরং আনন্দিত হয়ে মিষ্টি হেসে বলুন, ‘ধন্যবাদ’। এতে প্রশংসাকারী খুশি হবেন। সত্যি বলতে, ভালোকে ভালো, মন্দকে মন্দ বলা যেমন জরুরি, তেমনি কারোর ভালোকে প্রশংসা করাটাও অতি জরুরি। বলা হয়, স্বীকৃতি বা প্রশংসা শুধু কাজে উৎসাহই বাড়িয়ে দেয় না, মানসিকভাবেও একজন মানুষকে করে শক্তিশালী। তাই অন্যের প্রশংসা করার অভ্যাস গড়ে তোলা অত্যন্ত জরুরি। তাই ভালো কাজ করা, ভালো কাজের পাশে থাকা ও ভালো কাজ করা মানুষকে সবার মধ্যে সুন্দর করে ফুটিয়ে তোলার ক্ষেত্রে সবাইকে আন্তরিক ও সচেতন হতে হবে। তবেই সার্থক হবে আমাদের মানসিকতা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকবে মানুষ হবো
পরবর্তী নিবন্ধমাইকেল মধুসূদন দত্ত ও মেঘনাদবধ কাব্য