মুষলধারে বৃষ্টি ও বন্যায় এক তৃতীয়াংশ নিমজ্জিত পাকিস্তানে প্রাণহানি এক হাজার ১০০ ছাড়িয়ে গেছে, মৃতদের মধ্যে ৩৮০টি শিশুও আছে বলে জানিয়েছেন দেশটির কর্মকর্তারা। দক্ষিণ এশিয়ার দেশটির এবারের দুর্যোগকে নজিরবিহীন জলবায়ু বিপর্যয় হিসেবে বর্ণনা করে তাদের পাশে দাঁড়াতে মঙ্গলবার জাতিসংঘ বিশ্বের প্রতি আহ্বানও জানিয়েছে। খবর বিডিনিউজের।
তুমুল বর্ষণের কারণে সৃষ্ট ঐতিহাসিক প্লাবন অসংখ্য বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, স্থাপনা ও ফসলের ভয়াবহ ক্ষতি করেছে, বিপদে ফেলেছে সোয়া তিন কোটি মানুষকে, যা দেশটির জনসংখ্যার প্রায় ১৫ শতাংশ। দুর্গম এলাকাগুলোতে আটকে পড়াদের উদ্ধারে এবং খাবারের প্যাকেট ফেলতে দেশটির সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারগুলোকে এখন ছুটে বেড়াতে হচ্ছে। ৫ কোটি জনসংখ্যার সিন্ধু প্রদেশ এবারের বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
তিন দশকের গড় বৃষ্টিপাতের তুলনায় এবার সেখানে ৪৬৬ শতাংশ বেশি বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে। কার্যত দেশের এক তৃতীয়াংশই এখন পানির নিচে, রয়টার্সকে এমনটাই বলেছেন জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী শেরি রহমান। বিপর্যয়ের মাত্রাকে নজিরবিহীন বলার পাশাপাশি পানি শিগগিরই নামছে না বলেও সতর্ক করেছেন তিনি। ইসলমাবাদে নিজের কার্যালয়ে দেওয়া এক ব্রিফিংয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ বলেছেন, বন্যায় মৃতদের মধ্যে অন্তত ৩৮০টি শিশুও আছে। নজিরবিহীন জলবায়ু বিপর্যয়ের প্রভাব দেখতে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস আগামী সপ্তাহে দক্ষিণ এশিয়ার দেশটিতে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন বৈশ্বিক সংস্থার এক মুখপাত্র।
