‘পাইরেটস অব দ্য ক্যারিবিয়ান’ খ্যাত হলিউডি তারকা জনি ডেপ এবং তার সাবেক স্ত্রী অ্যাম্বার হার্ড যখন বিচ্ছেদের মামলা নিয়ে লড়ছিলেন, তখন ডেপের জীবন এক ধরনের পরাবাস্তবতার মধ্য দিয়েছে কেটেছে বলে ভাষ্য এই অভিনেতার। জনি ডেপ বলেছেন, যে কোনো মূল্যে তিনি এই জটিলতার শেষ দেখতে চেয়েছিলেন। খবর বিডিনিউজের।
দ্য হলিউড রিপোর্টার লিখেছে, দ্য সানডে টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ডেপ বলেছেন, বিচ্ছেদের মামলা ঘিরে নেতিবাচক প্রচার, বানোয়াট খবর তিনি সহ্য করেছেন। তবু আমি লড়ে গেছি। আমি ভেবেছিলাম, শেষ পর্যন্ত লড়ব। তিক্ততা কতদূর যেতে পারে দেখতে চেয়েছিলাম। ওই মামলার জন্য যদি শেষ পর্যন্ত পেট্রল পাম্পেও কাজ করতে হয়, তাহলেও কোনো সমস্যা নেই। এই কাজ আগে করেছি, আবার করব।
ডেপ বলেন, ব্যাপারটা অনেক দূর গড়িয়েছিল। আমি বুঝেছিলাম নিজের সঙ্গে আমাকে অনেক সমঝোতা করতে হবে। অনেকে আমাকে চুপ থাকার পরামর্শ দিতেন, বোঝাতেন যে এই সমস্যা নাকি এমনিই থেমে যাবে। কিন্তু আমি জানতাম এটা থামার নয়। যদি সত্য তুলে না ধরা হয়, তাহলে সবাই হার্ডের অভিযোগ সত্য বলে ধরে নেবে। আদালতে সত্য প্রমাণ না হলে তার সন্তানদের দাগ নিয়ে বেঁচে থাকতে হত বলেও মন্তব্য করেছেন ডেপ। ভক্তদের উচ্ছ্বাসে ভাসিয়ে ২০১৫ সালে ঘর বেঁধেছিলেন জনি ডেপ ও অ্যাম্বার হার্ড, কিন্তু দুই বছরের মধ্যে ঘটে তাদের বিচ্ছেদ। ২০১৮ সালে ওয়াশিংটন পোস্টে এক নিবন্ধে নিজেকে পারিবারিক সহিংসতার শিকার হিসেবে তুলে ধরেছিলেন হার্ড। তাতে ক্ষুব্ধ হয়ে সাবেক স্ত্রীর বিরুদ্ধে ৫ কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ চেয়ে মানহানির মামলা করেন ডেপ। তার পাল্টায় ১০ কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ চেয়ে পাল্টা মামলা করেন হার্ড। ২০২২ সালের ২ জুন যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার ফেয়ারফ্যাক্স কাউন্টি আদালত সিদ্ধান্ত দেয়, পরস্পরের মানহানি করেছেন দুই অভিনেতাই। সেজন্য ক্ষতিপূরণ হিসেবে ডেপকে ১ কোটি ৩ লাখ ডলার দেবেন হার্ড। আর ক্ষতিপূরণ হিসেবে হার্ড পাবেন ২০ লাখ ডলার। ওই রায়ের ছয় মাস পর ডেপের সঙ্গে আপস রফার পথে হাটেন হার্ড। সে সময় তিনি লেখেন, অনেক চিন্তা–ভাবনার পর তিনি আপস নিষ্পত্তির এই কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কিছুদিন আগেও ডেপ ভেবেছিল হলিউড তাকে ‘বয়কট’ করেছে। বিষয়টি তেমন দাঁড়ায়নি। ‘ডে ড্রিংকার’ সিনেমা দিয়ে হলিউডে ফিরছেন তিনি। ‘ডে ড্রিংকার’ মুক্তি পাবে আগামী বছরে।