প্রমার ‘পশ্চিমের রবি’

| মঙ্গলবার , ৯ আগস্ট, ২০২২ at ৮:৩২ পূর্বাহ্ণ

পশ্চিমের সুর আর পুবের বাণী, মেলবন্ধনে প্রকাশিত এক অন্য রবীন্দ্রনাথ-বিশ্বকবির ৮১তম প্রয়াণ দিবসে ‘পশ্চিমের রবি’ শিরোনামে ব্যতিক্রমী এক আয়োজন করল প্রমা আবৃত্তি সংগঠন। গতকাল সোমবার রাতে নগরীর থিয়েটার ইন্সটিটিউট মিলনায়তনে এই অনুষ্ঠানে গানে ও কথায় মুগ্ধ ছিলেন দর্শক-শ্রোতারা। অনুষ্ঠানের শুরুতে সেইসময়ের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে সমাজবিজ্ঞানী অনুপম সেন বলেন, একটি পরাধীন দেশে রবীন্দ্রনাথের মত এক কবি, বহু ও বিচিত্রমুখী প্রতিভার জন্ম বিস্ময়কর। যে দেশ নানা শোষণের কারণে ধীরে ধীরে দরিদ্র হয়ে যাচ্ছে সেখানে বসে কী অসাধারণ কবিতা, নাটক, নৃত্যনাট্য তিনি রচনা করে চলেছেন। রবীন্দ্রনাথের গান মানুষের অন্তরের গভীরে প্রবেশ করে স্পর্শ করে। যারা বাঙালির জন্য পশ্চিমের দ্বার খুলে দিলেন তাদের মধ্যে রবীন্দ্রনাথ অন্যতম প্রধান। খবর বিডিনিউজের।
অনুষ্ঠানে কবি-সাংবাদিক আবুল মোমেন বলেন, রবীন্দ্রনাথ কেবল পূর্বের বা পশ্চিমের কবি নন, তিনি পৃথিবীর কবি। রবীন্দ্রনাথ নানা উৎস থেকে তার সঙ্গীত ভাণ্ডারকে সমৃদ্ধ করেছেন। তার একটি হল পাশ্চাত্য সঙ্গীত। সেখান থেকে তিনি সুর গ্রহণ করেছেন। অনুষ্ঠানে মূল ইংরেজি, আইরিশ ও স্কটিশ গানগুলো পরিবেশন করেন যুক্তরাজ্য প্রবাসী শিল্পী উর্বী মধুরা ও পূর্বা অধরা। আর এসব গানের অনুসরণে রচিত রবীন্দ্র সঙ্গীত পরিবেশন করেন শিল্পী ইমতিয়াজ আহমেদ। ইংরেজ নাট্যকার বেন জনসনের ‘উৎরহশ ঃড় সব ড়হষু’ গানের সুর ও ভাব অবলম্বনে রচিত ‘কতবার ভেবেছিনু’ গানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় পরিবেশনা। অনুষ্ঠানে আবৃত্তি শিল্পী রাশেদ হাসান বলেন, বাংলায় প্রথম গীতি নাট্য বাল্মিকী প্রতিভা। এতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লোকগানের সাথে পাশ্চাত্য সঙ্গীতের মিলন ঘটান। যুক্তরাজ্য প্রবাসী শিল্পী ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, রবীন্দ্রনাধ চিরকালীন ও প্রাসঙ্গিক হয়েই আছেন আজো।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআসছে ‘নেত্রী: দ্য লিডার’
পরবর্তী নিবন্ধনতুন দুই সিনেমায় ফজলুর রহমান বাবু