চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) আলাওল হলের প্রভোস্টের স্বাক্ষর জালিয়াতির অভিযোগে হলের এক কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ওই কর্মচারীর নাম শ্রাবন সরকার। গত ২ জুন তিনি হলের প্রভোস্টের স্বাক্ষর জালিয়াতি করে ২৫ হাজার টাকা উত্তোলন করেন বলে জানা গেছে। গতকাল রোববার বিষয়টি জানাজানি হয়। তবে আরও কয়েকদিন আগে চবির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে বরখাস্তের বিষয়টি জানানো হয়। পাশাপাশি ওই হলের আরও এক কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দেওয়া হয় বলে জানা গেছে। তারা হলেন, হলের সেকশন অফিসার সৈয়দ হোসেন ও কর্মচারী শামসুল ইসলাম।
বরখাস্তের অফিস আদেশে বলা হয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আলাওল হলের অফিস পিয়ন শ্রাবন সরকারের বিরুদ্ধে আলাওল হলের প্রভোস্টের স্বাক্ষর জাল করে প্রভোস্টের নামে অগ্রণী ব্যাংক চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখায় রক্ষিত ০২০০০০২০৮৫৩৮৬ হিসাব নম্বর হতে ২ জুন পঁচিশ হাজার টাকা উত্তোলনের অভিযোগ বিষয়ে গঠিত এক সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটির তদন্তের স্বার্থে চবি কর্মচারী (দক্ষতা ও শৃংখলা) সংবিধির ১৫ (বি) ধারা অনুসারে শ্রাবন সরকারকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকুরি হতে সাময়িকভাবে বরখাস্ত (সাসপেন্ড) করা হলো। তিনি সাময়িকভাবে বরখাস্ত থাকাকালীন সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী জীবিকা ভাতাদি পাবেন।
গতকাল রোববার বিষয়টি নিশ্চিত করে চবির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, আলাওল হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড. এনামুল হকের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত কমিটি করা হয়। ওই তদন্ত কমিটির কাজের স্বার্থে আমরা তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছি। এ সময়ে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী সুযোগ–সুবিধা পাবেন। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পেলে সেই অনুসারে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।