অস্ট্রেলিয়ার সিডনির ওয়ালি পার্কে ড্রিম কী রিয়েলিটির পৃষ্ঠপোষকতায় এবং ওমেন কাউন্সিল অস্ট্রেলিয়া ও এনারগন অস্ট্রেলিয়ার সহযোগিতায় গত ২১ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হয় বাঙালির প্রাণের বৈশাখী মেলা। নাহিদা ও পলি ফরহাদের সঞ্চালনায় বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় সঙ্গীতের পর শুরুতে বৈশাখের গান পরিবেশন করেন শ্যামলী দে। কবিতা আবৃতি করেন শহিদুল আলম বাদল। কিশলয় কচিকাঁচা, আগমনী অস্ট্রেলিয়া ও বিএসপিসি বাংলা স্কুলের ছোট্ট সোনামনিরা গানে ও নাচে দর্শকদের মাতিয়ে রাখে। দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নৃত্য পরিবেশন করেন আর্শিতা আদ্রিতা, মিশা, অবশোরা, তানাকা, ফারিহা আঞ্জুম, ঋতুপোম প্রমুখ। গান পরিবেশন করেন মারিয়া মুন, নিলুফার ইয়াসমিন, মিঠু স্বপ্ন ও রত্না কর, লাল সবুজ ও কৃষ্টি ব্যান্ড। খণ্ড কথোপকথনে ছিলেন নুসরাত জাহান স্মৃতি ও নাবিলা স্রোতস্বিনী। অনুষ্ঠানে বিষয়ভিত্তিক সঞ্চালনায় অংশ নেন নাহিদা সুলতানা, সাকিনা আক্তার, পলি ফরহাদ, জুঁই সেন পাল ও মুনা মুস্তাফা।
সাকিনা আক্তার ও নাহিদার সঞ্চালনায় বৈশাখী মেলায় প্রধান অতিথি ছিলেন অষ্ট্রেলিয়ার সংসদ সদস্য টনি বার্ক। বিশেষ অতিথি ছিলেন সংসদ সদস্য মার্ক কোরে, অস্ট্রেলিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশ কনসাল জেনারেল মো. সাখাওয়াত হোসেন, সাবেক সংসদ সদস্য ওয়েন্ডি লিন্ডসে, ক্যাম্বেল টাউন সিটি কাউন্সিলের ডেপুটি মেয়র ইব্রাহীম খলিল মাসুদ, কাউন্সিলর সাজেদা আখতার সানজিদা, কাউন্সিলর রাচেল হারিকা, সাবেক কাউন্সিলর মোহাম্মেদ জামান টিটু, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ অস্ট্রেলিয়ার সভাপতি ড. সিরাজুল হক, গামা আবদুল কাদের, ইউনিয়ন প্রতিনিধি রেজওয়ান চৌধুরী, মো শফিকুল আলম, সুলতানা আখতার, ইফতেখার উদ্দিন ইফতু প্রমুখ। মেলায় বক্তারা অভিমত ব্যক্ত করে বলেন, বিদেশের মাটিতে বৈশাখের এমন আয়োজন সত্যিই মুগ্ধকর। আয়োজকরা বিদেশের মাটিতে বাংলার সংস্কৃতিকে ফুটিয়ে তোলার যে উদ্যোগ নিয়েছে তা প্রশংসার দাবি রাখে। এতে প্রবাসে বেড়ে ওঠা বর্তমান প্রজন্ম তাদের শিকড়কে জানতে পারবে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।