প্রবাসী হাবিবের খোঁজ নেই আট মাসেও

কক্সবাজার প্রতিনিধি | বৃহস্পতিবার , ১ জুলাই, ২০২১ at ৮:০০ পূর্বাহ্ণ

কক্সবাজার শহরের বদর মোকাম এলাকার হাবিব উল্লাহ (২৮) নামের এক সৌদি প্রবাসীর খোঁজ নেই আট মাসেও। নিখোঁজের শুরুতে অপহরণকারী দলের সদস্যরা তাঁর পরিবারের সাথে যোগাযোগ করে দেড় লাখ টাকা মুক্তিপণ আদায় করেও পরে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় বলে দাবি পরিবারের।
মঙ্গলবার সকালে কঙবাজার প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে নিখোঁজ প্রবাসীর পরিবারের সদস্যরা তাঁকে উদ্ধারের দাবি জানিয়েছেন। তারা জানান, গত বছরের ৩১ অক্টোবর দুপুরে হাবিব উল্লাহ চট্টগ্রাম শহরে যায়। সেখান থেকে রাতে ফেরার কথা থাকলেও তিনি ফিরেননি। পরিবারের লোকজন নানাভাবে খোঁজাখুঁজি করেও তাঁর সন্ধান পায়নি।
এ ঘটনায় হাবিব উল্লাহর পিতা আবদুল হাকিম চট্টগ্রামের কর্ণফুলী থানার ইছা নগর এলাকার বাসিন্দা নাসরিন আক্তার ও তাঁর স্বামী মির্জা মোহাম্মদ জানে আলমকে অভিযুক্ত করে গত বছরের ৩ ডিসেম্বর কঙবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন। আদালত মামলা কঙবাজার পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দেন। এর আগে গত ২ নভেম্বর তাঁর নিখোঁজের বিষয়টি জানিয়ে কঙবাজার সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন।
হাবিব উল্লাহর পিতা আবদুল হাকিম বলেন, আমরা তাঁকে জীবিত উদ্ধারের জন্যে গত ৮ মাস ধরে সব ধরনের প্রচেষ্টা চালিয়ে এসেছি।
ছেলে নিখোঁজের তিন দিন পর আমার মোবাইলে ফোন করে অপহরণকারীরা ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ চায়। ছেলের জীবন বাঁচাতে বিকাশে আমি দেড় লাখ টাকা পাঠাই। এ টাকা পাওয়ার পর তাঁরা আর যোগাযোগ করেনি।
হাবির উল্লাহর বোনের স্বামী আহমদ ছফা বলেন, এখন নাসরিন আক্তারকে ধরলেই তাঁর সন্ধান পাব বলে আমরা আশা করছি। নাসরিনের সঙ্গে হাবিবের পরকীয়া সম্পর্ক রয়েছে বলে আমাদের সন্দেহ রয়েছে। এতে টাকার লোভে হাবিববে জিম্মি করে রেখেছে। সংবাদ সম্মেলনে হাবিবের নববধূ স্ত্রী আফরিনা সুলতানা রিপা(১৯) কান্নায় ভেঙে পড়েন। তিনি তাঁর স্বামীকে যেকোন মূল্যে ফেরত চান। এ জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
তবে অভিযুক্ত নাসরিন আক্তার সাংবাদিককের কাছে এ ঘটনা তাঁর জানা নেই বলে জানান।
তিনি বলেন, আমি অসুস্থ,আমার অপারেশন হয়েছে। এসব বিষয়ে আমাকে প্রশ্ন না করলেই খুশী হবো।
এ ব্যাপারে কঙবাজার পিবিআইয়ের পরিদর্শক ও তদন্ত কমকর্তা মোহাম্মদ কাউসার বলেন, ভিকটিমকে উদ্ধার ও ঘটনা অনুসন্ধানে পুলিশের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। তিনি বলেন, মুক্তিপণ দেওয়ার নামে ভিকটিমের পরিবার প্রতারণার শিকার হয়েছেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধস্কুলছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে যুবক গ্রেপ্তার
পরবর্তী নিবন্ধকরোনা রোগীদের জন্য আবুল খায়ের গ্রুপের অক্সিজেন সেবা সম্প্রসারণ